• সর্বশেষ আপডেট

    নব্য জেএমবি’র চার সদস্য আটক, অস্ত্র,বিস্ফোরক, জিহাদী বই উদ্ধার!


    শেখর চন্দ্র সরকার বগুড়া প্রতিনিধিঃ বগুড়া জেলা গোয়েন্দা শাখার অভিযানে একটি ৭.৬৫ বিদেশি পিস্তল,একটি পিস্তলের ম্যাগাজিন,২রাউন্ড ৭.৬৫ পিস্তলের গুলি,একটি দেশি তৈরি ওয়ান শুটার গান,দুইটি কার্তুজ,৩টি অত্যাধুনিক বার্মিজ চাকু,১টি চাপাতি, ১ কেজি বিস্ফোরক দ্রব্য (পটাশিয়াম ক্লোরেট),২টি লাল টেপ,৪টি ব্যাটারি, কিছু পরিমাণ তারসহ চারজন নব্য জেএমবি’র সদস্য আটক করা হয়েছে।

     জঙ্গিরা নাশকতার উদ্দ্যেশ্যে নিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ থানার চণ্ডিহারা এলাকার একটি স্থানে সমবেত হতে যাচ্ছে এমন  গোয়েন্দা তথ্য পেয়ে  বগুড়া’র পুলিশ সুপার  আলী আশরাফ ভূঞার  নেতৃত্বে  ৭ নভেম্বর রাত ১.৪৫ এর দিকে  বগুড়া রংপুর মহাসড়কের চণ্ডিহারা এলাকায় অভিযান চালিয়ে চারজনকে উল্লেখিত  অস্ত্র ও সরঞ্জামসহ  আটক করে।

     আটককৃত ব্যক্তিরা হলেন ১. মোঃ তানভীর আহম্মেদ  আবু  ইব্রাহিম (২৫) সাংগঠনিক পদবি, নব্য জেএমবি’র আইটি শাখার সদস্য, পিতাঃ মোহাম্মদ আলী  সাং তরশ্রীরামপুর,থানা মুকসুদপুর, জেলা গোপালগঞ্জ, বর্তমান ঠিকানা বাড়ি # ২, রোড #৮ ব্লক এল, দক্ষিণ বনশ্রী, খিলগাঁও, ঢাকা।  ২. মোঃ জাকারিয়া জামিল(৩১) সাংগঠনিক পদবি - মিডিয়া শাখার প্রধান, পিতাঃ খন্দকার গোলাম সারোয়ার, সাং জগতপোড়া, থানা ভুয়াপুর জেলা টাঙ্গাইল বর্তমান ঠিকানা ৫৮/সি পশ্চিম রাজাবাজার, শেরে বাংলানগর ঢাকা ৩. মোঃ আতিকুর রহমান (২৮) নব্য জেএমবি’র সক্রিয়  সদস্য পিতাঃ মোঃ আব্দুর রহমান, সাং চকশ্যামরামপুর,থানা ও জেলা ময়মনসিংহ ৪. মোঃ আবু সাঈদ, নব্য জেএমবি’র সক্রিয় সদস্য পিতাঃ মোঃ আব্দুল হাকিম, সাং চকশ্যামরামপুর,থানাও জেলা ময়মনসিংহ।
     
    প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক ব্যক্তিরা নিজেদের নব্য জেএমবি’র দায়িত্বশীল পদধারী  হিসেবে নিজেদের স্বীকার করেন এবং এখানে মিটিং করে পরবর্তী কার্যক্রম নির্ধারণ করতে চাচ্ছিল বলে জানান।
    আটক ব্যক্তিদের মধ্যে তানভীর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইটি বিভাগের ছাত্র। এ বছরের শুরুতে জানুয়ারি মাসে  আশুলিয়াতে তার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ জঙ্গি পুস্তক,ইলেকট্রনিক ও ড্রোন তৈরির সরঞ্জামসহ তার স্ত্রীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। সে ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার সে একজন পলাতক আসামি এবং ঘটনার পর থেকে সে পলাতক ছিল। সে ড্রোন তৈরির মাধ্যমে নাশকতার পরিকল্পনা করছিল বলে জানা যায়। 

    আরেক আসামি জাকারিয়া জামিল নব্য জেএমবি’র মিডিয়া শাখার প্রধান দায়িত্বশীল। জঙ্গি সংক্রান্ত  অন লাইনে প্রকাশিত বিভিন্ন প্রকাশনাগুলোকে সে আরবি থেকে বাংলায় অনুবাদ করে প্রচার করত। জামিলও আশুলিয়ার মামলার পলাতক আসামি ছিল।

    তৃতীয় আসামি আতিক নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের ছাত্র ছিল। সে নতুন সদস্য এবং অর্থ সংগ্রহের দায়িত্বে ছিল। সর্বশেষ ব্যক্তি যুদ্ধ করার জন্য মধ্যপ্রাচ্য যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল।
    উদ্ধার হওয়া বিস্ফোরক দিয়ে ৫০টির মতো উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন বোমা বানানো সম্ভব ছিল। 
    এ বিষয়ে শিবগঞ্জ থানায় অস্ত্র, বিস্ফোরক দ্রব্য এবং সন্ত্রাস বিরোধী আইনে পৃথক পৃথক মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছিল। আটক ব্যক্তিদের আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন।



    প্রকাশিত: শনিবার, ০৭ নভেম্বর, ২০২০