• সর্বশেষ আপডেট

    ভারতের উত্তরপ্রদেশে দাঁড়ি রাখায় পুলিশ সদস্যা বহিষ্কার


    আন্তর্জাতিক দিগন্তঃ ভারতে নানা কারণে মুসলিমদের ওপর নির্যাতন ও নিপীড়ন চালানো হয়। বিভিন্ন বাহীনিতে নিয়োগ পাওয়া সরকারি সদস্যদের হেনেস্থাও করা হয়। এসব নিয়োগের ক্ষেত্রে মুসলিমদের বঞ্চিত করা হয়। তবে কেউ কেউ নিয়োগ পেলেও তাদের বিভিন্ন অজুহাতে বের করে দেয়া হয়।

    এবার বিভাগীয় অনুমতি ছাড়া মুখে দাড়ি কেন?‌ এক সাব–ইনস্পেক্টরকে সাসপেন্ড করার অভিযোগ উঠল ভারতের উত্তরপ্রদেশ পুলিশের বিরুদ্ধে। বাগপতের রামালা থানার ঘটনা।

    মুখে দাড়ি রাখার অভিযোগ উঠেছে ওই থানার ইন্তেজার আলি নামে পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে। কেন সাসপেন্ড করা হয়েছে, সেবিষয়ে বাগপত পুলিশের জনসংযোগ অফিসার মনোজ সিং বলছেন, পুলিশ বিভাগের নিয়ম, শুধুমাত্র শিখরাই দাড়ি রাখার অনুমতি পান, বাকিদের দাড়ি রাখার নিয়ম নেই। কেউ তা রাখতে চাইলে বিভাগীয় অনুমতি নিতে হয়। ইন্তেজারকে নোটিস পাঠিয়ে বলা হয়েছিল অনুমতি নিতে। কিন্তু তিনি তা করেননি। তারপরই বাগপত থানার সুপার অভিষেক সিং বুধবার তার সাসপেনশনের আদেশ দেন।

    এদিকে ইন্তেজারের দাবি, তিনি গত ডিসেম্বর থেকে অনুমতি চেয়ে আসছিলেন, কিন্তু তাকে তা দেয়া হয়নি। ঘটনাটিকে ধর্মাচরণের অধিকার লঙ্ঘন বলে দাবি করেন অল ইন্ডিয়া ইমাম অ্যাসোসিয়েশনের রাজ্য সভাপতি মৌলানা জুলফিকার। কেন ওই পুলিশকর্মীর আবেদনে কোনো সাড়া দেয়া হয়নি, প্রশ্ন তোলেন বিরোধী সমাজবাদী পার্টির নেতা সুশীর পাওয়ার।

    সূত্র : আজকাল

    প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২০