• সর্বশেষ আপডেট

    চট্টগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তার বিলাশী জীবন ! দুদকের অভিজান!



    দিগন্ত নিউজ ডেস্কঃ পানি উন্নয়ন বোর্ডের চট্টগ্রাম আঞ্চলিক হিসাব কেন্দ্রের এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কমিশন বাণিজ্য, অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-১ থেকে চট্টগ্রাম নগরে এই অভিযান পরিচালিত হয়।

    জানা গেছে, পানি উন্নয়ন বোর্ডের চট্টগ্রাম আঞ্চলিক হিসাব কেন্দ্রের হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা আবুল কালাম মজুমদারের বিরুদ্ধে কমিশন বাণিজ্য, অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ আনে দুদুক। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এনফোর্সমেন্ট ইউনিটে পাওয়া অভিযোগের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) চট্টগ্রামে এই কর্মকর্তার সম্পদের খোঁজে অভিযান চালানো হয়।

    অভিযানকালে দুদক টিম জানতে পারে, হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা আবুল কালাম মজুমদারকে সম্প্রতি চট্টগ্রাম থেকে বদলি করা হয়েছে। তবে তার সাবেক সহকর্মী ও স্থানীয় সেবাগ্রহীতাদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে দুদক টিম। এতে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে।

    পিয়ন হিসেবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের চাকরিতে যোগ দেওয়া কালামের বাড়ি নোয়াখালীতে। পরে পদোন্নতি পেয়ে চট্টগ্রাম আঞ্চলিক হিসাব কেন্দ্রের হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার দায়িত্ব পান তিনি। এছাড়া কিছুদিন তিনি কক্সবাজারে উপ-পরিচালকের (অতিরিক্ত) দায়িত্বও পালন করেন।

    পানি উন্নয়ন বোর্ডে প্রতি বছর কোটি কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়। বেড়িবাঁধ নির্মাণ, ব্লক বসানো, খাল খনন, ছড়ার উন্নয়নসহ বিভিন্ন খাতে সরকার যেসব উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করে তা পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমেই করা হয়। সাধারণত নির্বাহী প্রকৌশলীরাই প্রকল্প গ্রহণ, প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করে থাকেন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন সাপেক্ষে।

    অভিযোগ রয়েছে, অবৈধ অর্থে আবুল কালাম মজুমদার প্লট-ফ্ল্যাটসহ বিপুল সম্পদ গড়েছেন। পানি উন্নয়ন বোর্ড অফিসের কাছে চান্দগাঁও ফরিদার পাড়ায় ‘ডিউরেবল মোরশেদ’ নামে বিলাসবহুল ভবনে কিনেছেন কোটি টাকা দামের একটি ফ্ল্যাট। চার তলার এ ফ্ল্যাটে তিনি থাকেন না। ফ্ল্যাটটি ভাড়া দেওয়া হয়েছে। এছাড়া নামে-বেনামে নগরীর বিভিন্ন স্থানে রয়েছে আরও একাধিক প্লট-ফ্ল্যাট।

    দীর্ঘদিনের অভিযোগ, হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা কালামের হাত দিয়েই প্রকল্প বাস্তবায়নের কোটি কোটি টাকার চেক ছাড় হয়। পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঠিকাদারদের অভিযোগ, প্রতিটি চেকের বিপরীতে কালাম মজুমদারকে ২ থেকে ৫ শতাংশ পর্যন্ত ঘুষ দিতে হয়। না হলে চেক ছাড় করেন না।

    জানা গেছে, আবুল কালাম মজুমদার অবৈধ অর্থে চট্টগ্রামে যে ফ্ল্যাট কিনেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে, দুদকের এনফোর্সমেন্ট টিমের অনুসন্ধানে ওই ফ্ল্যাটের খোঁজও পাওয়া গেছে। সবমিলিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের এই কর্মচারীর অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তার বিরুদ্ধে বিস্তারিত অনুসন্ধানের অনুমোদন চেয়ে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হবে বলে দুদক সূত্র জানিয়েছে।


    প্রকাশিত: বুধবার, ০৭ অক্টোবর, ২০২০