• সর্বশেষ আপডেট

    বশেমুরবিপ্রবিতে রেজিস্ট্রার বরাবর ইইই বিভাগের স্মারকলিপি!





    সজিবুর রহমান,বশেমুরবিপ্রবিঃ গোপালগঞ্জ এর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইটিই (ইলেকট্রনিকস এন্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং) বিভাগকে ইইই (ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রিকস ইঞ্জিনিয়ারিং) বিভাগে একীভূত করার বিরোধিতা করে রেজিস্ট্রার বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে ইইই বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

    মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) রেজিস্ট্রার ড. নুরউদ্দিন আহমেদের নিকট এ স্মারকলিপি দেওয়া হয়।স্মারকলিপিতে ইইই বিভাগের শিক্ষার্থীরা উল্লেখ করেন,ইটিই বিভাগকে ইইই বিভাগের সাথে একীভূতকরণে মাননীয় উপাচার্য স্যার যে মতামত দিয়েছেন তাতে আমরা শঙ্কিত ও আশাহত।

    ইইই বিভাগের শিক্ষার্থীরা দাবি করেন,মাননীয় উপাচার্য স্যারের এমন মতামত অনাকাঙ্ক্ষিত,পক্ষপাতদুষ্ট ও অযৌক্তিক।এছাড়াও,স্মারকলিপিতে তারা উল্লেখ করেছেন দেশে টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়াদের যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে।যোগ্যতা থাকলে ও নিজেদের তৈরি করতে পারলে ভালো কিছু করা সম্ভব।

    গত রবিবার (৪ অক্টোবর) বশেমুরবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতির ফেইসবুক লাইভ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে মাননীয় উপাচার্য মহোদয় বলেন ইটিই এবং ইইই দুই বিভাগের পাঠ্যক্রমে ৭০-৮০ শতাংশ মিল আছে।তিনি ইটিই বিভাগের দাবিকে যৌক্তিক বলে উল্লেখ করেন।তিনি বলেন ঢাবিসহ অনেক বিশ্ববিদ্যালয় ইটিই বিভাগকে ইইই বিভাগের সাথে একীভূত করেছে।বশেমুরবিপ্রবিতেও দুই বিভাগকে একীভূতকরণের আলোচনা চলছে।

    ইটিই বিভাগের আন্দোলনকে অযৌক্তিক দাবি করে৷ শুরু থেকেই ইইই বিভাগের শিক্ষার্থীরা প্রেস ব্রিফিং,মানববন্ধনসহ নানা প্রতিবাদী কর্মসূচি পালন করে আসছে।

    এই বিষয়ে ইইই বিভাগের শিক্ষার্থী সিদ্দিকুর রহমান তামিম বলেন, “আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা যেই ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেন সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রত্যেকটা সেক্টরে দক্ষ লোকের প্রয়োজন হবে। ইতিমধ্যে আমাদের স্যাটেলাইট মহাকাশে গিয়েছে। এর মধ্য দিয়ে আমাদের জন্য কমিউনিকেশন সেক্টরে এক নবদিগন্তের সূচনা হয়েছে। সুতরাং এক্ষেত্রে ইটিই এর ব্যাপক চাহিদা তৈরি হবে। এছাড়া বর্তমানেও বিভিন্ন জব সার্কুলার এ দেখতে পাই ইটিই এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। তাই এ কথা নিঃসন্দেহে বলা যায় ইটিই এর কর্ম ক্ষেত্র অপ্রতুল এই কথা সম্পূর্ন ভিত্তিহীন এবং উপরিউক্ত ক্ষেত্রে দক্ষ ইটিই ইঞ্জিনিয়ারদের অভাব অনেকটাই সুষ্পস্ট। তাই আমি বলতে চাই অন্যায় আবদার না করে তারা যেনো নিজেদের দক্ষ হিসেবে গড়ে তুলতে মনযোগী হয়।

    ইইই বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী হাবিবুল্লাহ নিয়ন বলেন, আমরা ফেইসবুক লাইভে মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর মহোদয়ের কথা শুনেছি। কিন্তু আমাদের কোন কথা বিবেচনা না করেই তিনি কেন এই ধরনের একটি মন্তব্য করেছেন সেটা আমাদের বোধগম্য নহে। আমরা আশা করছি তিনি আমাদের স্মারকলিপি টি পড়বেন, আমাদের কথাগুলো শুনবেন এবং পরিশেষে একটি সুন্দর সমাধান দিবেন।

    উল্লেখ্য,২০১৯ সাল থেকে ইটিই বিভাগের শিক্ষার্থীরা ইইই বিভাগে একীভূতকরণের দাবিতে আমরণ অনশন করে আসছিলেন।বিষয়টি ইউজিসির নজরে গেলে ১৬ সদস্যর একটি টিম পর্যবেক্ষণের জন্য ক্যাম্পাসে পাঠান।পর্যবেক্ষক দল বিষয়টি সুপারিশের কথা বলে ইটিই বিভাগের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বিস্কিট ও পানি খায়ে অনশন ভাঙান।

    প্রকাশিত: বুধবার, ০৭ অক্টোবর, ২০২০