চট্টগ্রামে বাড়িবড়ি চলছে মশক জরিপ।
দিগন্ত ডেস্কঃ শেষ পর্যন্ত চট্টগ্রাম নগরীতে শুরু হল মশার জরিপ। ঢাকায় নিয়মিত চার মাস পর পর মশক জরিপ হলেও চট্টগ্রামে এবার হচ্ছে টানা তিন বছর পর। শেষবার চট্টগ্রামে এ ধরনের জরিপ হয়েছিল ২০১৭ সালের আগস্টে।
চট্টগ্রাম মহানগরে এডিস মশার প্রজননস্থল শনাক্ত ও মশার ঘনত্ব পরিমাপ ছাড়াও এই মশক জরিপে ম্যাপিংসহ ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত রোগীর বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হবে।
গতকাল রোববার ৪ অক্টোবর শুরু হওয়া এই মশক জরিপে কাজ করছেন ২৪ জন কীটতত্ত্ববিদ। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা কীটতত্ত্ববিদরা এক টিমে তিনজন করে মোট আটটি টিমে ভাগ হয়ে এতে অংশ নিচ্ছেন। কীটতত্ত্ববিদদের মধ্যে চারজন এসেছেন ঢাকা থেকে, রাঙামাটি থেকে তিনজন, রাজশাহী থেকে দুজন এবং কুমিল্লা ও হবিগঞ্জ থেকে এসেছেন একজন করে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম থেকে যুক্ত হয়েছেন চারজন কীটতত্ত্ববিদ।
এছাড়া চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের কয়েকজন শিক্ষার্থীও এই জরিপে যুক্ত থাকছেন। জরিপের পুরো বিষয়টি তত্ত্বাবধান করছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল ও এডিস মশাবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির ইভালুয়েটর ডা. একরামুল হকের।
রোববার শুরু হওয়া এই জরিপ চলবে বৃহস্পতিবার ৮ অক্টোবর পর্যন্ত। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনভুক্ত আটটি করে ওয়ার্ডে প্রতিদিন জরিপ চলবে।
এই জরিপে দেখা হবে, বাড়ির আশপাশ কিংবা ছাদে এডিস মশার লার্ভার অস্তিত্ব রয়েছে কিনা। টব, ড্রাম, প্লাস্টিকের পাত্রে পানি জমে এডিস মশার বংশবিস্তারের সম্ভাবনা রয়েছে কিনা। জরিপকারী বাড়িতে কেউ ডেঙ্গু বা চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে থাকলে, সেই তথ্যও নেওয়া হবে। এভাবে প্রতি ২০টি বাসা পর পর জরিপকারীরা তথ্য নেবেন।
প্রকাশিত: সোমবার, ০৫ অক্টোবর, ২০২০