• সদ্যপ্রাপ্ত সংবাদ

    বাবু নগরীর দিকে ঝুকলেন নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী!


    দিগন্ত ডেস্কঃ হেফাজতের মহাসচিব জুনায়েদ বাবুনগরীর পক্ষে ‘সাফাই’ গাইলেন নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী এমপি।  জুনায়েদ বাবুনগরী জামায়াত শিবির করেন না এমন দাবি করে তাকে হেফাজতে ইসলামের আমির বানানোর প্রস্তাবও দিয়েছেন।

    রোববার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে ফটিকছড়ির নাজিরহাট বড় মাদ্রাসার উদ্ভুত সংকট নিরসনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ প্রস্তাব দেন ফটিকছড়ি থেকে নির্বাচিত নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী এমপি।

    এসময় তিনি বলেন, আমি ভান্ডারী হয় আর যায়ই হয়, আমি আপনাদের লোক আমি অনেক আগে থেকেই জুনাইদ বাবু ঙ্গরীর সাথে ছিলাম ,আপনারা জানেন না , আমি অপেক্ষা করেছিলাম আপনারা বুঝতে পারেন কিনা এখন সময় হয়েছে, সবার প্রকাশ্য আসলাম।

    তিনি আরো বলেন, জুনায়েদ বাবুনগরী জামায়াতের বিরুদ্ধে বই লিখেছেন। তিনি ও তাঁর মামা মাওলানা মহিবুল্লাহ বাবুনগরী জামায়াতের বিদেষী। সরকারের কাছে বিভ্রান্তি ছড়ানোর জন্য একটি পক্ষ ষড়যন্ত্র করছে। বাবুনগরীকে সরকারের পাশ থেকে দুরে সরানোর জন্যই এ ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। আমি জানি কে জামায়াতের, আর কে জামায়াতের নয়।

    এর আগে শনিবার (২৪ অক্টোবর) মাদ্রাসায় ছাত্রদের দুটি পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। ফলে শনিবার রাতে ফটিকছড়ির সাংসদ ও দৌলতপুর বাবুনগর মাদ্রাসার মুহতামিম মাদ্রাসায় এসে শূরার মিটিং দুই দিন এগিয়ে এনে সোমবার (২৬ অক্টোবর) করার ঘোষণা দেন। কিন্তু রোববার সংবাদ সম্মেলন থেকে সেটি পরিবর্তন করে বুধবার (২৮ অক্টোবর) হওয়ার ঘোষণা দেন।

    এতে ভান্ডারী আরো বলেন, জুনায়েদ বাবু নগরীর নির্দেশনায় আমি এ মাদ্রাসায় এসেছি। তাছাড়া আমি ফটিকছড়ির সাংসদ। এখানে কেউ আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটাতে পারবে না। আমি পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছি শনিবার যারা হামলা করেছে তাদের গ্রেফতার করার জন্য।

    জানা গেছে, বুধবার (২৮ অক্টোবর) অনুষ্ঠিতব্য শূরা কমিটির বৈঠক এবং মাদ্রাসার পরিচালক পদ নিয়ে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে ‘মুহতামিম’ দাবিদার মাওলানা সলিমুল্লাহ এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন গত শনিবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে। এ সময় ছাত্রদের একাংশ মাওলানা সলিমুল্লাহকে ‘মুহতামিম মানি না, শূরা চাই, শূরা চাই’ বলে স্লোগান দিতে থাকে। একপর্যায়ে ছাত্রদের একটি অংশ স্লোগানধারীদের সরিয়ে দিতে চাইলে উভয়পক্ষ হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

    মাদ্রাসার পরিচালক বা মুহতামিমের পদ নিয়ে মাওলানা সলিমুল্লাহ ও মাওলানা হাবিবুর রহমান কাসেমীর মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে। সলিমউল্লাহ মরহুম আহমদ শফির অনুসারী। অন্যদিকে হাবিবুর রহমান হেফাজতের মহাসচিব জুনায়েদ বাবুনগরীর অনুসারী।

    সংবাদ সম্মেলনে আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী, ফটিকছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান এইচ এম আবু তৈয়ব, মাওলানা হাবিবুর রহমান হাসেমী উপস্থিত ছিলেন।


    প্রকাশিত: রবিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২০