• সর্বশেষ আপডেট

    ময়মনসিংহে পুলিশ কনষ্টেবলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা

    মোঃ ফজলুল হক ভুঁইয়া, ময়মনসিংহঃ- ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে মাদ্রাসা ছাত্রীকে (১৬) ধর্ষণের অভিযোগে এক পুলিশ সদস্যকে আটক করেছে স্থানীয়রা। পরে থানা পুলিশের সদস্যরা গিয়ে ওই অভিযুক্ত ও নির্যাতিতা ছাত্রীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

    বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছে নির্যাতিতা ছাত্রীর বাবা।

    জানা যায়, উপজেলার বড়হিত ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামের আজিজুল হকের ছেলে এজাদুল হক রতন (১৮) প্রায় ১ বৎসর পূর্বে পুলিশ কনস্টেবল হিসেবে নিয়োগ পেয়ে গাজীপুর জেলার পূবাইল থানায় কর্মরত আছে। মাদ্রাসার ওই ছাত্রীর সাথে পুলিশ সদস্য রতনের দেড় বছর পূর্বে ফেসবুকের ম্যাসেঞ্জারে পরিচয় হয়। মেয়েটির বাড়ি উপজেলার রাজিবপুর ইউনিয়নে। পরিচয়ের সূত্র ধরে তারা প্রেমের সম্পর্কে জড়ায়। বিয়ের আশ্বাসে ছাত্রীটিকে একাধিকবার ধর্ষণ করে রতন। গত মঙ্গলবার রাতে ছাত্রীকে তাদের বাড়ির পাশের একটি ঝোঁপে নিয়ে ধর্ষণের সময় স্থানীয় লোকজন ধাওয়া দিয়ে আটক করে রতনকে।

    পরে রাত ২ টার দিকে ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসির নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্ত রতন ও নির্যাতিত ছাত্রীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

    এ ঘটনায় বুধবার দূপুরে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনী ২০০৩ এর ৯(১) ধারায় ছাত্রীটির বাবা ইসহাক আলী বাদী হয়ে রতনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন।

    নির্যাতিতা ছাত্রী জানায়, প্রায় দেড় বছর ধরে রতনের সাথে প্রেমের সম্পর্ক  চলছে।  বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে রতন তার সাথে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তুলে।

    অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য রতন জানায়, মেয়েটির সাথে ফেইসবুকে পরিচয়। কিন্তু মেয়েটির সাথে কোন অবৈধ সম্পর্ক ছিলো না তার। তাকে বিপদে ফেলতেই এমন নাটক তৈরি করা হয়েছে।

    ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোখলেছুর রহমান জানান, খবর পেয়ে রাতে পুলিশ সদস্য ও মেয়েটিকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন।

    প্রকাশিত: বুধবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০