• সর্বশেষ আপডেট

    চট্টগ্রামে রোগী না থাকায় সরকারি ৪টি সহ বন্ধ হচ্ছে ৬টি কভিড হাসপাতাল।



    এম এ মেহেদিঃ মহামারী করোনা ভাইরাসের আক্রান্ত সংখ্যা বাড়ায় চট্টগ্রামে সরকারি ও ব্যক্তির উদ্যোগে  নির্মিত হওয়া করোনা কভিড- হাসপাতাল ও আইসোলেশন সেন্টারে বর্তমানে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা নেই বললেই চলে। আক্রান্ত  কিছুটা কমায়, এবং আক্রান্ত রোগীরা নিজ ঘরে থেকে চিকিৎসকের পরামর্শে চিকিৎসা নেওয়ায়। হাসপাতাল গুলোতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা শুন্যের কোটায়।

    রোগী না থাকায় ও অহেতুক অর্থ নষ্ট হাওয়ায়  চট্টগ্রামের সরকারী ৪টি সহ মোট ৬টি হাসপাতালে কভিড-১৯ করোনাভাইরাস চিকিৎসার কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এসব হাসপাতাল অতি দ্রুত বন্ধ করে দিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে প্রস্তাব পাঠিয়েছে স্বাস্থ্য  সেবা বিভাগ।

    জানা যায় করোনা আক্রান্ত রোগী না থাকার পরও অধিক জনবল সহ হাসপাতালগুলো সচল থাকায় অহেতুক অনেক  অর্থ ব্যয় হচ্ছে তাই  এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

    স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, বন্ধের প্রস্তাব করা হাসপাতালগুলোতে রোগীর সংখ্যা একেবারেই কমে গেছে, কোন হাসপাতালে  গত এক মাসে একজন আক্রান্ত রোগীও নেই । কিন্তু  ডাক্তার, নার্স, পরিচালনা জনবল ও আধুনিক যন্ত্রপাতিসমৃদ্ধ এসব হাসপাতালে করোনা চিকিৎসার কার্যক্রম চালু রাখায় ‘অযথা সরকারের অনেক অর্থ ব্যয় হচ্ছে।

    চট্টগ্রামে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রকাশিত হিসেবে  করোনা চিকিৎসার জন্য নির্ধারিত চট্টগ্রামের ৯টি হাসপাতালে  ৭৮২টি শয্যার মধ্যে ৬১২টিই খালি ছিল। রোগী ভর্তি ছিল ১৭০টি শয্যায়। ৩৯টি আইসিইউ শয্যার ১৮টিতে রোগী ভর্তির বিপরীতে খালি ছিল ২১টি শয্যা।

    চট্টগ্রামে যে  হাসপাতাল গুলোতে  করোনাভাইরাস চিকিৎসার কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে তা হল ফৌজদারহাটের বিশেষায়িত হাসপাতাল (বিআইটিআইডি), হলিক্রিসেন্ট হাসপাতাল, চট্টগ্রাম রেলওয়ে হাসপাতাল, বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল হাসপাতাল (ইউএসটিসি), ফোজদার হাট চট্টগ্রাম ফিল্ড হাসপাতাল এবং বড় পুলের চট্টগ্রাম করোনা আইসোলেশন সেন্টার। এরই মধ্যে বেসরকারি দুটি ফোজদার  চট্টগ্রাম  ফিল্ড হাসপাতাল ও চট্টগ্রাম করোনা আইসোলেশন সেন্টার আনুষ্ঠানিক ঘোষনা দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে কতৃপক্ষ।


    প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০