• সর্বশেষ আপডেট

    ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে আ:লীগ নেতার স্ত্রীকে ভাগিয়ে নেয়ার অভিযোগ



    যশোরের চৌগাছা উপজেলার স্বরূপদাহ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সোলাইমান হোসেনের স্ত্রীকে ভাগিয়ে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগ নেতা সাদেকুর রহমানের (২৭) বিরুদ্ধে।

    ১৩ সেপ্টেম্বর, রোববার দুপুরে যশোর প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন সোলাইমান হোসেন। এ সময় সোলাইমানের সাথে তার শিশুপুত্র আবু বক্কার সিদ্দিক (১১) উপস্থিত ছিল।

    সোলাইমান বলেন, “চৌগাছা উপজেলা ছাত্রলীগের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির সহসভাপতি ছেট দিঘড়ী গ্রামের আইজেল হকের ছেলে সাদেকুর রহমান পরীক্ষার ফরম পূরণ ও ফির টাকা নেয়াসহ বিভিন্ন অজুহাতে আমার বাড়িতে আসতো। এভাবে সে আমার ছেলে আবু বক্কার সিদ্দিকীর মা সালমা খাতুনের সাথে পরকীয়ার সম্পর্ক তৈরি করে। এ নিয়ে সংসারে অশান্তি লেগে থাকতো।

    এমন অবস্থায় ২০১৭ সালের ৩১ জুলাই আমার শাশুড়ি রাবেয়া খাতুন ও তার দুই ছেলে মুছা ও ইব্রাহিম আমার বাড়ি আসে। তাদের জন্য বাজার থেকে কেনাকাটা করে ফিরে শুনি ছেলেকে ফেলে সালমা খাতুন ও তার পরিবারের সবাই ছাত্রলীগ নেতা সাদেকুরের সাথে বাড়ি থেকে চলে গেছে। এ সময় তারা আমার নগদ ৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকাসহ কয়েক লাখ টাকার সোনার গয়না নিয়ে যায়।

    এ ঘটনার পর আমি আমি স্ত্রীকে ফেরত আনতে শ্বশুর বাড়ি গেলে আমাকে অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করে তাদের বাড়ি থেকে বের করে দেয়। এরপর আমার স্ত্রী সালমা ছাত্রলীগ নেতা সাদেকুরকে বিয়ে করে এবং তার সঙ্গে বসবাস শুরু করে। এ ব্যাপারে ২০১৮ সালে সালের ৩ সেপ্টেম্বর আমি জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করি।

    এরপর আসামি সাদেকুর মামলার খবর পেয়ে আমাকে খুন করার হুমকি দিতে থাকে। এমন অবস্থায় ২০১৮ সালের ২২ সেপ্টেম্বর ফ্রিজ কিনতে কোটচাঁদপুর যাওয়ার সময় সাদেকুর তার সহযোগীদের নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আমাকে আটকায়। এ সময় তারা আমার কাছে ১০ লাখ টাকা দাবি করে। টাকা না দেয়ায় তারা আমাকে মারধর করে এক লাখ ২০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়।

    এ ঘটনায় থানায় মামলা করতে গেলে আমাকে আদালতে মামলা করতে পরামর্শ দেয়া হয়। এ বিষয়ে আমি ২০১৮ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর আদালতে মামলা করি। এরপর থেকে তারা সিলেটে থাকতো। বর্তমানে সাদেকুর আবার চৌগাছায় এসে থাকছে এবং এবং বিভিন্ন মাধ্যমে আমাকে হত্যাসহ হাত-পা ভেঙে দেয়ার হুমকি দিচ্ছে। পাশাপাশি উপজেলা ছাত্রলীগের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করছে।

    নেতার স্ত্রী ভাগিয়ে বিয়ে করা ব্যক্তি কিভাবে ছাত্রলীগের নেতৃত্বে থাকতে পারে? এ ছাড়াও সে আমার বিরুদ্ধে নাটক সাজিয়ে আমার বিরুদ্ধে মামলা করে হয়রানি করতে পারে। তিনি এসবের প্রতিকার পেতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

    এদিকে সাদেকুর বলেন, ২০১৬ সালের প্রথম দিকে পারিবারিক কলহের কারণে তাদের তালাক হয়ে যায়। ২০১৮ সালের আগস্ট মাসে আমি সালমাকে পারিবারিকভাবে বিয়ে করি। আমরা আড়াই বছর সংসার করছি। সে যেসব অভিযোগ করেছে তা মিথ্যা। আমি তার বউকে বিয়ে করিনি। তালাকপ্রাপ্ত একজনকে আমি বিয়ে করেছি।


    প্রকাশিত: রবিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০