• সর্বশেষ আপডেট

    বিধ্বস্ত লেবাননের ক্ষমতা নিচ্ছে সেনাবাহিনী


    ৪ আগস্ট ভয়াবহ বিস্ফোরণে বিধস্ত লেবাননের ক্ষমতা যাচ্ছে দেশটির সেনাবাহিনীর হাতে। গত সপ্তাহে বিস্ফোরণের পর আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করে লেবানন সরকার। এরপরও দেশটির প্রেসিডেন্ট ও স্পিকারের পদত্যাগের জন্য আন্দোলন চলতে থাকে। ফলে দেশটির সংসদ জরুরি অবস্থা অনুমোদন করায় কার্যত নিয়ন্ত্রণ নিচ্ছে সেনাবাহিনী।

    প্রায় ১০ মাস আগেও দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগে শুরু হওয়া গণবিক্ষোভের মুখে পদত্যাগ করতে হয়েছিল সাবেক প্রধানমন্ত্রী সাদ হারিরিকে। এতো অল্প সময়ের মধ্যে দুটি সরকারের পতনের ফলে এখন প্রশ্ন ওঠেছে দেশটির রাজনৈতিক ভবিষ্যত এখন কোন পথে?

    নতুন মন্ত্রিসভা গঠন না হওয়া পর্যন্ত বর্তমান সরকারই তত্ত্বাবধায়কের ভূমিকায় থাকছে। অনেকের আশঙ্কা, নতুন সরকার গঠন দীর্ঘায়িত হবে এবং সেই সময়টিতে দেশ অচল হয়ে থাকবে।

    তবে এই জরুরি অবস্থা জারি করা নিয়ে সমালোচনা করছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলো। কারণ, জরুরি অবস্থা বাকস্বাধীনতা, সমাবেশ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা বন্ধসহ বাড়িতে প্রবেশ করে যে কোনো ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা জন্য সেনাবাহিনীকে অনুমতি দেয়। যা সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার জন্য হুমকি বলে মনে করা হয়।

    হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ও বিভিন্ন সংগঠন জানায়, সামরিক আদালতে বিচারগুলো স্বাভাবিক বিচার প্রক্রিয়ার সঙ্গে খাপ খায় না। বিস্ফোরণের পর সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারীদের দমাতে নিরাপত্তা বাহিনী কঠোর ব্যবস্থা নিতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করে এই সংগঠনগুলো।

    এর আগে বিস্ফোরণের পরের দিন দুই সপ্তাহ জরুরি অবস্থা জারি করেছিল লেবাননের মন্ত্রীসভা। ওই বিস্ফোরণে ২০০ জনের বেশি মানুষ নিহত ও ৬ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।


    প্রকাশিত: শুক্রবার ১৪, অগাস্ট ২০২০