• সর্বশেষ আপডেট

    তিন স্কুল পড়ুয়া ছাত্রীকে রাতভর পালাক্রমে ধর্ষণ, আটক দুই।

    এম এ মেহেদিঃ চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে, স্কুল পড়ুয়া তিন বান্ধবী মিলি (১৪) জলি (১৪) এবং চম্পা (১৩)। ঈদের পরদিন সন্ধ্যার পর তারা পরিবারে সাথে অভিমান করে এক যুগে বাসা থেকে বের হয়ে টাইগার পাস এলাকার মামা ভাগনের মাজারে সামনে দাঁড়িয়ে থাকে। রাত ৮ টার সময় নিরিবিলি জায়গায় তিনটা মেয়ে বসে থাকতে দেকে সুযোগে সাহায্যের হাত বাড়াতে আসে  লিটন নামের এক যুবক। আর সেই সাহায্য গ্রহণ করাই কাল হয়ে দাঁড়ায় এই তিন বান্ধবীর। সারারাত ধর্ষণের শিকার হন তিনজনই।

    ধর্ষণের শিকার হয়ে পরদিন সকালে পরিবারকে জানালে, তাদের পরিবার,  খুলশী থানায় অভিযোগ দেই। অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযান পরিচালনা করে মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) দিবাগত রাতে সেগুন বাগান এলাকা থেকে দুই ধর্ষককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

    গ্রেপ্তারকৃতরা হল নোয়াখালী জেলার ধর্মপুর সুধারাম এলাকার কামাল উদ্দিনের ছেলে মোহাম্মদ লিটন ও কুমিল্লা জেলার সরদার বাড়ি মনোহরগঞ্জের মো. শাহজাহানের ছেলে সোহেল রানা রাজু।

    পুলিশ জানান, তিন বান্ধবীর বাসা বায়েজিদ থানার ধ্বনি পাহাড় এলাকায়। স্থানীয় একটি স্কুলে পড়ালেখা করে তারা। গত ২৯ জুলাই তিন বান্ধবীই বাসায় থেকে রাগ করে বেরিয়ে যায়। সন্ধ্যা ছয়টার দিকে টাইগার পাসের মামা ভাগনের মাজারে চলে আসে। তখন রাত সাড়ে ৮টার দিকে তিন বান্ধবী টাইগারপাস নিরিবিলি হোটেলের সামনে অবস্থান করছিল। তখন অজ্ঞাতনামা এক লোক তাদের সাথে কথা বলতে চায়। কথাবার্তার একপর্যায়ে লোকটি তাদের সাথে ভাব জমায়। লোকটি তাদের অসহায়ত্ব বুঝতে পারে। মেয়েরা লোকটিকে জানায় তাদের রাতে কোথাও থাকার জায়গা নেই। লোকটি মোবাইলে কার সাথে যেন কথা বলে। কিছুক্ষণ পর দুজন লোক মোটরসাইকেল যোগে আসে। তারা জানায়, তাদের পরিবারের সঙ্গে বাসাতেই তাদের থাকার ব্যবস্থা করবে। এতে রাজি হয় তিন বান্ধবী।

    মোটরসাইকেল ও সিএনজি যোগে ওই দুইজন লোক তাদের নিয়ে যায় খুলশী এলাকার ৩/এ সড়কের র ২২ নম্বর বাড়িতে। এরপর তিন বান্ধবীর ওপর সারারাত ধরে চলে ধর্ষণ। ভোর হতেই মেয়েগুলোকে তারা বাসায় রেখে দুই ধর্ষক দুইজন চলে যায়। সকালবেলা মেয়েগুলো বাসায় ফিরে গেলে সব ঘটনা খুলে বলে পরিবারকে। এরপর তারা অভিভাবকসহ থানায় এসে মামলা দায়ের করে।

    খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কার্মকর্তা  (ওসি) প্রনব চৌধুরী দিগন্ত নিউজ'কে বলেন, দারোয়ানের সাথে কথপোকথনের সূত্র ধরে সেই নম্বরের সাহায্যে সন্দেহজনক ছবি সংগ্রহ করে ভিকটিমদের দেখানো হয়। ভিকটিমরা ছবি দেখে ধর্ষকদের শনাক্ত করে। এরপর টানা ৪৪ ঘন্টার অভিযান শেষে সেগুন বাগান এলাকা থেকে অপরাধ কর্মে ব্যবহৃত মোটর সাইকেলসহ তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

    ওস বলেন, এক সময় খুলশী থানার এই বাসাটিতে আসামী লিটন ড্রাইভার হিসেবে কাজ করত। বাড়ির মালিক সপরিবারে প্রবাসে পাড়ি জমান। লিটন ও ৬ নং পরিবহনে ড্রাইভার রাজু সেই সুযোগে দারোয়ানের সহযোগিতায় অপর্কম করে আসছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ঘটনার সত্যতার কথা স্বীকার করেন। আসামীদের  আদালতে প্রেরণ করে ৫ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে।

    প্রকাশিত: বুধবার ৫, অগাস্ট ২০২০