বাগমারায় বন্যার পানিতে বাড়ি ঘর নষ্ট হওয়ায় দিশেহারা মানুষ
মুকুল হোসেন,বাগমারা(রাজশাহী):: রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার নরদাশ ইউনিয়নের পূর্ব দৌলতপুর গোয়ালপাড়া গ্রামসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে শত শত বাড়িঘর। শয়ন কক্ষে পানি ঢুকে পড়ায় অনেক পরিবার কে থাকতে হচ্ছে অন্যের বাড়িতে।
ঘরের ভেতর থেকে পানি নেমে গেলেও ঘর ধ্বসে যাওয়ায় তা বসবাসের অনুপযোগী হয়ে রয়েছে। স্ত্রী সন্তান ও গবাদি পশু নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে অনেক পরিবার।
সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও তাদের এখনো মেলেনি সরকারি কোন সহায়তা। নতুন করে বাড়ি নির্মাণ করা না হলেও ক্ষতিগ্রস্থ ওইসব বাড়িতে বসবাসও করতে পারবেন না তারা। জানা যায়, সম্প্রতি বাগমারায় কয়েকটি ইউনিয়নে বন্যায় বসতবাড়ি, পান বরজ, পাট ক্ষেতসহ বিভিন্ন ফসলাদি তলিয়ে যায়। দ্বিপপুর, কাচারীকোয়ালিপাড়া ও নরদাশ ইউনিয়নে বাড়িঘরের বেশি ক্ষতি হয়।
অনেকের শয়ন কক্ষে পানি ঢুকে বসবাসের অনুপযোগী হয়ে উঠে। সরেজমিন নরদাশ ইউনিয়নের পূর্ব দৌলতপুর গোয়ালপাড়া গ্রামে গিয়ে বাড়িঘরে পানি ঢুকে অনেক পরিবার কে মানবেতর জীবন যাপন করতে দেখা যায়। অন্যের বাড়িতে থাকতে হচ্ছে তাদের।
বন্যার পানিতে ঘর নষ্ট হয়ে যাওয়া রফিকুলের স্ত্রী রোজিনা বিবি জানান, ঘরের মধ্যে পানি ঢুকে ঘর ফেটে নষ্ট হয়ে গেছে। আসবাবপত্র বের করে রাখা হয়েছে। পানি নেমে গেলেও সেখানে বসবাস করা যাচ্ছে না।
অনেক কষ্টে লালন করা ছাগল ছিল তা মায়ের বাড়িতে রেখে আসতে হয়েছে। স্থানীয় এক কলেজ শিক্ষকের বাড়িতেই কয়েকটি পরিবারের লোকজন আশ্রয় নিয়েছে বলে জানান তিনি।
একই এলাকার আজাহার আলী, জাহাঙ্গীর আলম, আব্দুর রাজ্জাক, আজাদ, অনীল চন্দ্র হালদার, শ্যামলসহ অনেকের বাড়িঘর বন্যায় ধ্বসে গিয়ে বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। জাহাঙ্গীর আলম জানান, পাড়ার ভেতর থেকে পানি নেমে গেলেও সবগুলো ঘর ফেটে যাওয়ায় নতুন করে বাড়ি নির্মাণ না করলে ওই বাড়িতে বসবাস করা যাবেনা।
প্রায় দশদিন হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত সরকারি কোন সহায়তা তারা পায়নি বলে জানিয়েছেন। একই গ্রামের বাসিন্দা গোড়সার মহাবিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক মুনতাজ আলী জানান, প্রায় শতাধিক মানুষের বাড়িঘর বন্যার পানি উঠে নষ্ট হয়ে গেছে। ঘরের আসবাবপত্রসহ নানা জিনিসপত্র বের করে নিয়ে আমার বাড়িসহ বিভিন্ন জায়গায় আশ্রয় নিয়েছে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার গুলো।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরিফ আহম্মেদ জানান, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের ব্যাপারে খোঁজ নেয়া হচ্ছে। সরকারি ভাবে ইতিমধ্যে সহায়তাও দেয়া হচ্ছে।
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার ২৩ জুলাই, ২০২০