• সর্বশেষ আপডেট

    শতশত মানুষের প্রতিবাদ খালে বাঁধ দিয়ে অবৈধ মাছ চাষ

    কুয়াকাটায় ৫ গ্রামের শতশত মানুষেরপ্রতিবাদ খালে বাঁধ দিয়ে অবৈধ মাছ চাষ ২০০০ একর জমির ফসল নষ্ট ।

    রাসেল কবির মুরাদ, কলাপাড়া-পটুয়াখালীঃ- “কচ্ছপখালী খালে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষের ফলে কৃষকের সর্বনাশ।’ ‘খালবাঁচাও, কৃষক বাঁচাও” - স্লোগান সম্মলিত ফেষ্টুন, ব্যানার  নিয়েকুয়াকাটায় কয়েকশো ভুক্তভোগী কৃষক রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানায়। মঙ্গলবার কুয়াকাটা পৌর শহরের  কচ্ছপখালী খালের বাঁধে ঘন্টাব্যাপিদাঁড়িয়ে কচ্ছপখালী খাল পুনরুদ্ধার কমিটির ব্যানারে  শতশত  কৃষকমানববন্ধনে অংশ নেয়। মানববন্ধনে অংশ নেয়া কৃষকরা তাদের বক্তব্যে বলেন, প্রবহমান কচ্ছপখালীখালে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল একাধিক স্থানে বাঁধ দিয়ে অবৈধভাবে মাছ চাষ করছে।

    এতে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা বন্ধ থাকায়নবীনপুর, তুলাতলী, আজিমপুর, মুসুল্লীয়াবাদ, দোভাসীপাড়া   ওকচ্ছপখালী গ্রামের শতাধিক পরিবারের প্রায় দুই হাজার একর  জমিরবীচতলা নষ্ট হয়ে গেছে। কৃত্রিম জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে গোটা এলাকায়।প্রবাহমান খালে ভূমিহীন বন্দোবস্ত বাতিলসহ খালের পানি নিষ্কাশনব্যবস্থা সচলের দাবী জানায়  ভুক্তভোগী কৃষকরা।

    কয়েক বছর ধরে খালটিপুনরুদ্ধারে একাধিকবার আবেদন জানালেও রহস্যজনকভাবে ভূমি প্রশাসনকৃষকদের দাবী আমলে নিচ্ছে না বলে  জানান মানববন্ধনে অংশ নেয়া কৃষকরা। কচ্ছপখালী   খাল পুনরুদ্ধার কমিটির সভাপতি শাহজাহান মৃধা বলেন,ভূমিহীন সেজে সাবেক ইউপি সদস্য ১৯৮০ সালে প্রবাহমান কচ্ছপখালীখালটি বন্দোবস্ত নেয়। ১৩ কি: মি: এই খালটির ৩ কি: মি: দখল করে ৩টিবাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করায় জলাবদ্ধতায় দুর্ভোগে রয়েছে এলাকার শতাধিকপরিবার। এসব   বিষয়ে সাবেক ঐ ইউপি সদস্য এ প্রতিবেদককে বলেন, তাররেকর্ডীয় সম্পত্তির মধ্যে খাল, খালে তিনি মাছ চাষের জন্য বাঁধদিয়েছেন।

    কলাপাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জগৎবন্ধু মন্ডল বলেন, প্রবহমানখালে বাঁধ দিয়ে অবৈধভাবে মাছ চাষ করছে এমন অনেক অভিযোগ পাওয়াগেছে। খোঁজ খবর নিয়ে দ্রুতই ব্যবস্থা নেয়া হবে।

    প্রকাশিত: বুধবার, ১৫ জুলাই, ২০২০