• সর্বশেষ আপডেট

    শ্রীপুরে একই পরিবারের ৪ জনের উপর জিনের আছর! কবর ধুয়ে পানি খাচ্ছেন পরিবারের লােকজন!

    জিনের আছর
    মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, গাজীপুরঃ- গাজীপুরের শ্রীপুরে একই পরিবারের ৪ সদস্যের উপর জিনের আছর পড়েছে বলে জানা যায়। 

    শ্রীপুর উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের বেলদিয়া গ্রামের আব্দুস সামাদের বাড়িতে এমন ঘটনার খবর পাওয়া গেছে। পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত সাতদিন পূর্বে ( ৩০ জুন ) বিকেল বেলা রতন শেখের স্ত্রী শিখা আক্তার ( ৩০ ) প্রথম আক্রান্ত হয় পরে পর্যায়ক্রমে আব্দুস ছামাদের মেয়ে শাহিনুর ( ২৫ ) , ছেলে উজ্জ্বল ( ২৩ ) এবং একই পরিবারের রুবেলের স্ত্রী আসমা বেগম ( ২৪ ) আক্রান্ত হন।

    তারা আরও  জানায় , ৩০ জুন প্রথমে শিখার পেটে ব্যথা হয় তার জন্য পল্লী চিকিৎসকের কাছ থেকে চিকিৎসা নেওয়ার পর কিছুটা ভালো হলেও ১ জুলাই থেকে কিছুটা মানসিক ভারসাম্য হীনের মতো আচরণ শুরু করে। ২জুলাই হতে আব্দুস সামাদের মেয়ে শাহিনুর (২৫), ছেলে উজ্জ্বল (২৩) এবং ৩ জুলাই হতে একই পরিবারের রুবেলের স্ত্রী আসমা বেগম (২৩) অন্য রকম আচরণ শুরু করে। এবং বাড়ির পাশে দাদা মৃত রজব আলী শেখের কবরের উপরে লালসালু টানাতে বলে সকলকে মিলাদ পড়তে বলে এবং কবর ধুয়ে পানি খেলে নাকি যেকোনো বালা - মুসিবত দূর হয়ে যাবে এরকম আজগুবি কথা বলতে থাকে। পরে পরিবারের লোকজন স্থানীয় বরমীর এক কবিরাজ হাকিমের কাছে গেলে এদেরকে জিনে ধরেছে বলে তিনি জানান। পরে ওই অসুস্থ জিনে ধরা রোগীদের কথামতো পরিবারের লোকজন ওই কবরে উপরে লালসালু টানিয়ে দেন এবং কবরের পাশেই তারা পাটি বিছিয়ে অবস্থান করেন।

    পরিবারের লোকজনের দাবি মৃত রজব আলী শেখ শাহজালাল মাজারের মুরিদ ছিলেন আর এই জিন শাহজালাল মাজার থেকে এসেছে! জিনের কথা মতোই কবরে উপরে লালসালু টানানো হয়েছে! এইরকম গুজব সংবাদে এলাকায় রীতিমত তোলপাড় শুরু হয়ে গেছে।  এলাকাবাসীর দাবি রোগীরা নিজেদেরকে জিনে ধরা বলে অভিনয় করে কিন্তু তাদেরকে জিনেও আছর করেনি আর তারা মানসিক রোগীও নয়। তারা তাদের নিজস্ব একটি লক্ষ্য পূরণের জন্য জিনে ধরার অভিনয় করছে। কেউ যদি তাদেরকে দেখতে যায়। তাহলে তাদের সাথে অশোভন আচরণ করছে। কাওরাইদ ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য নুরুল ইসলাম জানান, আমি এমন বিষয়টি শুনে তাদের বাড়িতে গিয়েছি। কিন্তু জিনে ধরা রোগীর যে ধরনের লক্ষণ থাকার কথা তাদের মধ্যে সেরকম কোন লক্ষণই পরিলক্ষিত হয়না। 

    তারা বেশি লোকজন দেখলেই এরকম আবোল তাবোল শুরু করে এবং লোকজনকে মার-ধরের অভিযোগের কথা শুনেছি। মূলত তারা ওই কবরকে মাজারে পরিণত করবে এটাই তাদের উদ্দেশ্য। আমি কাওরাইদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলে আইনি ব্যবস্থা নিবো। 
    শ্রীপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খন্দকার ইমাম হোসেন জানান , জিনে ধরার বিষয়টি আমাদের জানা নেই। অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।

    প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ০৭ জুলাই, ২০২০