• সর্বশেষ আপডেট

    চিকিৎসা সেবাই ঘোলা জলে মাছ শিকারে মরিয়া একটি মহল! দাবি ডা. রেজাউল করিমের

    দিগন্ত নিউজ ডেস্কঃ কার স্বার্থে এসব করছেন? তাদেরউদ্দেশ্যটাকি? প্রাইভেট হসপিটাল গুলোতে করোনা চিকিৎসা হচ্ছে সে জন্য তারা অসন্তুষ্ঠ কেন?
    বিভিন্ন উসকানিমুলক রিপোর্ট তৈরি করে তারা প্রাইভেট হসপিটালগুলোকে পাবলিকের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে কার এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে চাচ্ছেন?

    তারা কি চাচ্ছেন সরকার ও প্রশাসন চুড়ান্তভাবে ব্যর্থ হোক? স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় ক্রমশ গুছিয়ে উঠা প্রশাসনে বিশৃংখলা তৈরি করে ঘোলা জলে মাছ শিকার করবেন?
    এ সব কার স্বার্থে করছেন? সত্য মিথ্যার মিশেলে গল্প বানিয়ে বিশৃংখলা তৈরিতে ইন্ধনকারী এসব 'মুখচেনা মহল'কে চিহ্নিত করা প্রয়োজন এবং তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন।

    করোনা শুরুর মুহুর্তে এই মহল গলা ফাটিয়ে বলে যাচ্ছিলো,
    পথে পথে লাশের পাহাড় জমবে,
    লাশ দাফনের জন্য লোক পাওয়া যাবে না
    লাশের বন্যায় সয়লাব হয়ে যাবে দেশ।
    কবর স্থান পাওয়া যাবে না, ইত্যাদি নানা আতংক তৈরী বিস্ফোরক ভবিষ্যৎ বাণী।

    আল্লাহর অশেষ রহমত, তাদের সেই আশংকা বা গুপ্ত কামনা বাস্তবায়িত হয় নাই। 'আল্লাহু খায়রুন মাকিরিন'। আল্লাহ ই সর্বোত্তম বাস্তবায়নকারী।

    ইউরোপ আমেরিকায় যেভাবে কোভিড ত্রাস চালিয়েছে, আল্লাহর রহমতে আমাদের দেশে সেভাবে হয়নি।


    এখন মানুষ চিকিৎসা নিয়ে হাসিমুখে বাড়ি ফিরছে, একটা সিটের জন্য, জীবন রক্ষাকারী একটু অক্সিজেনের জন্য পাগলের মতো ছুটাছুটি করছে না, আস্থার সাথে চিকিৎসা নিচ্ছে।

    একমাস আগেও নিউজ হতো ' অক্সিজেনের হাহাকার, হসপিটালে সিট না পেয়ে ঘুরে ঘুরে পথে প্রাণ গেলো অমুকের ইত্যাদি।

    এ সব খবর 'ঘোলা পানিতে মাছে শিকারে অভ্যস্ত কিছু পাবলিক প্রবল উত্তেজনা নিয়ে পড়তেন আর ফেস বুকে শেয়ার দিয়ে প্রশাসনের বিরুদ্ধে জনগনকে খেপিয়ে তুলতেন।

    চিকিৎসার অভাবে তাদের কাঙ্খিত এবং বহু প্রতিক্ষীত কথিত 'পথে পথে লাশ' পড়ে না থাকায় মনে হয় তেনারা আর উত্তেজনা পাচ্ছেন না। এখন উত্তেজনা তৈরীর ভিন্ন পথ ধরেছেন।

    সূর পাল্টিয়ে এ সব গনক ভবিষ্যৎ দ্রষ্টারা ফেসবুকে মিডিয়ায় সমস্বরে বলার চেষ্টা করছে
    সরকারী হাসপাতালে কোনও চিকিৎসা নাই, বেসরকারী হাসপাতাল গুলো কসাই খানা, জনগণকে রাস্তায় নামতে হবে, বেসরকারী চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া দরকার, কারো কারো আবদার এসব হাসপাতাল স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেয়া দরকার।

    বেসরকারী চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে কেউ সত্যিকার ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলে প্রশাসনকে জানাতে পারেন, প্রতিকার চাইতে পারেন। সেটাই হলো নিয়মসিদ্ধ বৈধ পথ। তা না করে ফেসবুকে ট্রল করে পাবলিক সেন্টিমেন্ট তৈরী করার চেষ্টা করার মধ্য দিয়ে বুঝা যায় তারা কোভিড ব্যবস্থাপনায় একটা বিশৃংখলা তৈরী করতে চাচ্ছে।

    এসব বিশৃঙ্খলা তৈরীর সংঘবদ্ধ প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে সতর্ক থাকার জন্য অনুরোধ রইল।


    প্রকাশিত: মঙ্গলবার ২১ জুলাই, ২০২০