• সর্বশেষ আপডেট

    বাংলার ঐতিহ্য, সৌন্দর্য, আর সৌহার্দ্য, আজ বর্ষার প্রথম দিন

    বাংলার ঐতিহ্য

    সোমবার ১ আষাঢ়, ১৪২৭ বঙ্গাব্দ। আষাঢ়ের প্রথম দিবস থেকে আনুষ্ঠানিক সূচনা হলো প্রিয় ঋতু বর্ষার। মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের সেই ধ্রুপদী পঙিক্ত ‘গভীর গর্জন করে সদা জলধর/উথলিল নদ-নদী ধরনীর উপর।

    বর্ষার প্রথম দিনে সকালে দেশের অনেক স্থানে অঝর ধারায় বৃষ্টি হয়ে শীতল করে গেছে চারপাশ। একই সঙ্গে জানান দিয়ে গেছে নিজের অস্তিত্বকে। ভুলে যাওয়া মানুষদের মনে করিয়ে দিয়ে গেছে আজ বর্ষার প্রথম দিন। সাদা-হলদে ফুলে ভরে উঠেছে কদম গাছ। সুবাস ছড়াচ্ছে চারপাশে।

    বর্ষা মানেই আবেগ, অনুভূতির জোয়ার। এ জোয়ারে ভাসেননি এমন কবি, সাহিত্যিক পাওয়া যায় না। শুধু যে কবি-সাহিত্যিক তাই নয়, সাধারণ মানুষও। কালিদাস থেকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, জীবনানন্দ দাশ বা নির্মলেন্দু গুণ, মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে হুমায়ূন আহমেদ কেউ বর্ষাকে এড়িয়ে যেতে পারেননি। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুতুল নাচের ইতিকথা, পদ্মা নদীর মাঝি, বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পথের পাঁচালী, জহির রায়হানের হাজার বছর ধরে, হুমায়ূন আহমেদের শ্রাবণ মেঘের দিন- এ বর্ষা এক বিপুল বিস্ময় নিয়ে আবির্ভূত।


    বাংলার ঐতিহ্য, সৌন্দর্য, আর সৌহার্দ্য যেন মিলে মিশে এক হয়ে আছে এই বর্ষার প্রকৃতিতে। বর্ষা পুষ্পিত হোক কাননে, বর্ষিত হোক প্রকৃতিতে আর আপন মহিমায় সৌহার্দ্য ছড়াক প্রাণিকূলে।


    প্রকাশিত: সোমবার, ১৫ জুন, ২০২০