কিস্তির টাকার চাপে দিনমজুরের আত্মহত্যা।
আবু সাইদ চৌধূরী, নওগাঁ: নওগাঁর রাণীনগরে ব্র্যাকের ঋণের কিস্তির চাপের কারণে ইুঁদুর মারা গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে জীবন দিলো ছাইদুল ইসলাম (৫০) নামের এক দিনমজুর। ছাইদুল ইসলাম উপজেলার বড়গাছা ইউনিয়নের বড়িয়া গ্রামের মৃত-আয়েত আলী শেখের ছেলে। ছাইদুল ইসলাম গত রবিবার দিবাগত রাতে ইুঁদুর মারা গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার মৃত্যুবরন করেন।
এলাকাবাসী ও ছাইদুল ইসলামের ভাই রহিদুল ইসলাম জানান, ব্র্যাক থেকে ছাইদুল ১লাখ টাকা ঋণ নিয়েছিলো। প্রতি মাসে সেই ঋণের কিস্তি পরিশোধ করার কথা ছিলো। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সারা দেশ লকডাউন থাকার কারণে তাকে কয়েক মাস কোন কিস্তি দিতে হয়নি। কিন্তু গত শনিবার ব্র্যাক এনজিও কর্মীরা এসে ছাইদুলকে রবিবারে কিস্তি দেওয়ার জন্য বিভিন্ন ভাবে চাপ দিয়ে যায়।
আর রবিবার রাতে ছাইদুল ইুঁদুর মারা গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করলে স্বজনরা তাকে প্রথমে রানীনগর উপজেলা সাস্হ কমপ্লেক্সে নিয়ে যান সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার নওগাঁ সদর হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন,এরপর তাকে সদর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। এতে করে ছাইদুলের অবস্থার অবনতি হলে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। সাইদুলের ভাই রহিদুল ইসলাম জানান করোনা ভাইরাসের কারনে সারা দেশ লকডাউনে আমার ভাইয়ের তেমন কোন কাজকর্ম না থাকায় পরিবার-পরিজন নিয়ে তার দিনকাল খুব ভালো যাচ্ছিলো না।
করোনা ভাইরাসের পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত যেখানে প্রধানমন্ত্রী সকল প্রকারের এনজিওদের কিস্তি আদায় বন্ধ রাখার নির্দেশনা প্রদান করেছেন অথচ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে বিভিন্ন এনজিওরা তাদের কিস্তি আদায়ের কাজ করে আসছে। এই কর্মকান্ড যদি বন্ধ রাখা না হয় তাহলে কর্মহারা অনেক অসহায়, দিনমজুর ও হতদরিদ্ররা কিস্তির চাপ থেকে বাঁচার জন্য এভাবেই নিজেদের জীবন উৎসর্গ করতে বাধ্য হবেন বলে আশঙ্কা করছেন সচেতন মহল।
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ০৯ জুন, ২০২০