আটকেরপর মাদক দিয়ে ফাঁসিয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে কোষ্টগার্ড এর বিরোদ্ধে
আনোয়ারা প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার ৩নং রায়পুর ইউনিয়ন ওয়াহেদ আলী বাজার থেকে গত ২৮শে মে বৃহস্পতিবার পাব্লিকের সামনে থেকে দুইজনকে গ্রেফতার করে কোষ্টগার্ড। পরবর্তীতে তাদেরকে স্থানীয় থানায় না দিয়ে কোষ্টগার্ড চট্টগ্রাম কার্যালয়ে নিয়ে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা ও মাদক দিয়ে পতেঙ্গা থানায় হস্তান্তর করে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।
আজ ১লা জুন সোমবার বেলা ১১টায় সংবাদ সম্মেলন এমনটাই দাবি করছেন ভিকটিম এর পরিবার।
পরিবারের দাবি মুহাম্মদ ওসমান ও মুহাম্মদ ইকবাল হোসেনকে ওয়াহেদ আলি বাজার স্থানীয় জনগনের সামনে থেকে গ্রেফতার করে কোষ্টগার্ড। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন ফকিরহাট সাঙ্গু কোষ্টগার্ড কার্যালয়ে যোগাযোগ করলে তাদেরকে আনেয়ারা থানায় নিয়ে যাবে সেখানে যোগাযোগ করতে বলা হয়, পরবর্তীতে থানায় যোগাযোগ করা হলে থানা জানায় দুই জনকে গ্রেফতারের বিষয়টি জানতে পেরেছি তবে তাদের থানায় হস্তান্তর করা হয়নি।
সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, এই দুই যুবকের গ্রেফতারের খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় ওসমানের সাথে রাজনৈতিক ও সামাজিক বিরোধ থাকায় স্বার্থসন্ধানি কিছু লোক কোষ্টগার্ডকে বিভিন্নভাবে প্রলোভন দিয়ে তাদেরকে ফাসাঁনোর চেষ্টা চালায়।
কোষ্টগার্ডও তাদেরকে স্থানীয় থানায় না নিয়ে কোষ্টগার্ড চট্টগ্রাম ইছানগর কার্যালয়ে নিয়ে গিয়ে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা ও মাদক দিয়ে পতেঙ্গা থানাকে হস্তান্তর করে জেলখাজতে প্রেরণ করে।
সংবাদ সম্মেলনে পরিবার দাবি করেন মুহাম্মদ ওসমানের বিরুদ্ধে আগে মাদক মামলা থাকলেও পরবর্তীতে সে এহেন কর্মকাণ্ড ছেড়ে দিয়ে সাধারণ জীবন যাপনে ফিরে আসে পাশাপাশি ইয়াবা ও মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়েতোলে একারণে এলাকার কিছু ইয়াবা ব্যবসায়ী আবারো তাকে বিভিন্নভাবে মাদক ব্যবসায়ে জড়াতে চেষ্টা করে তবে তারা তাতে কামিয়াবি হতে না পেরে তারা প্রসাশনকে ব্যবহার করে একটা সাজানো নাটক করেছে বলে জানান।
অন্যজনের পরিবার দাবি করেন মুহাম্মদ ইকবাল হোসেন জীবনে যার সাথে মাদকের কোন ধরনের সম্পর্ক ও নেই থাকে অন্য আরেক ইকবালে নামে মামলা থাকায় সেই ইকবাল মনে করে গ্রেফতার করে ফেলে। একজন ইকবালের পিতার নাম জেবুল হোসেন তার নামে থানায় মাদক মামলা থাকায় আব্দুল গফুরের ছেলে ইকবালকে সেই ইকবাল মনে করে গ্রেফতার করে মাদক দিয়ে জেলহাজতে প্রেরণ করায় প্রসাশনের এমন কাজের জন্য এলাকাবাসী হতবাক।
সম্মেলনা তারা বলেন, একজন মানুষ অতীতে না বুঝে কোন ধরনের খারাপ কাজ করলে পরবর্তীতে সে মানুষটি ভালো হয়ে গেলে তার পিছনে অতীত নিয়ে লেগে থাকলে তাহলে সমাজ পরিবর্তন হওয়ার সম্ভবনা নেই। তারা আরো জানান ইকবাল হোসেন ছেলেটি মাদক ব্যবসায়ে জড়িত সেটা প্রসাশন বললেও এলাকাবাসী বিশ্বাস করতে পারছে না। ইকবাল নামের সাথে মিল থাকায় মারপ্যাঁচে পরে যায় সে।
পরিবারের দাবি ঘটনাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট পুর্বপরিকল্পিত তারা ষড়যন্ত্রের শিকার সংবাদ সম্মেলন থেকে তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা অবিলম্বে প্রত্যহার করে মুক্তির দাবি জানান মুহাম্মদ ওসমান ও মুহাম্মদ ইকবালের পরিবারের সদস্যরা।
প্রকাশিত: সোমবার, ০১ জুন, ২০২০