• সর্বশেষ আপডেট

    উত্তর কাট্টলী লকডাউনে বিসিক শিল্প নগর ও কন্টেইনার টার্মিনাল আওতামুক্ত থাকবে- সিটি মেয়র


    মাহমুদ আরাফ মেহেদিঃ করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে নগরীর ১০ নং উত্তর কাট্টলী ওয়ার্ড এলাকায় লকডাউন কার্যকর শুরু হয়েছে। লকডাউন কার্যকর করতে প্রয়োজনীয় সকল প্রস্তুতি বাস্তবায়ন করেছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ও প্রশাসন। তবে জীবন-জীবিকা ও অর্থনীতির স্বার্থে ওয়ার্ড এলাকায় অবস্থিত বিসিক শিল্প নগর ও কন্টেইনার টার্মিনাল লকডাউনের আওতামুক্ত রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। 

    সেক্ষেত্রে শিল্প নগরের আওতাধীন প্রতিষ্ঠান ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ব্যাপারে নিশ্চয়তা প্রদান শর্তে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হবে। লকডাউন চলাকালীন এই ওয়ার্ডে অবস্থিত বাস স্টেশন সিটি গেইটের বাইরে সরিয়ে নেয়া হবে। তবে চসিকের পক্ষ থেকে প্রাথমিক ভাবে ওয়ার্ডের ২০টি প্রবেশ সড়ক বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হলেও ঈশান মহাজন রোড,কালির হাট রোড,কৈবল্যধাম রোড, শাহের পাড়া রোড,সাগরিকা বিটাকা রোডসহ ছয়টি সড়ক খোলা রাখা হবে। 

    লকডাউন কার্যকরের চুড়ান্ত প্রস্তুতি নিয়ে গতকাল ১৬ জুন টাইগার পাসস্থ চসিক কার্যালয়ে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সাথে সমন্বয় সভার আয়োজন করেছে। সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উত্তর কাট্টলী ওয়ার্ডে ২১ দিনের লকডাউন বাস্তবায়ন নিয়ে নীতিগত সিদ্ধান্তে কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। 

    এ বিষয়ে সিটি মেয়র আ জ  ম নাছির উদ্দীন  জানান, লকডাউন কার্যকর করতে আমরা প্রয়োজনীয় সকল  পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। সক্ষমতার বিষয়টিকে বিবেচনায় রেখে প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। বিসিক শিল্প নগরকে লকডাউনের আওতামুক্ত রাখা হচ্ছে। এ ব্যাপারে বিসিক সংশ্লিষ্টদের সাথে আলোচনা করে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। তাছাড়া এলাকায় অবস্থিত অন্যান্য কলকারখানা কর্তৃপক্ষের সাথেও আলোচনা হয়েছে।

    সাধারণ ছুটি চলাকালীন সময়ে যাতে শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন ভাতাদি পরিশোধ নিশ্চিত করা হয় সে বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। লকডাউনের সমস্ত কার্যক্রম মনিটরিংয়ে কাউন্সিলরকে আহবায়ক করে প্রশাসন প্রতিনিধি,স্বাস্থ্য অধিদপ্তর প্রতিনিধি, রাজনৈতিক সংগঠন প্রতিনিধি, ই-কমার্স এসোসিয়েশন, সমাজ কল্যাণ সমিতি, এনজিও প্রতিনিধি এবং ধর্মীয় পুরোহিতদেরকে অন্তর্ভুক্ত করে কমিটি গঠন করা হয়েছে। 

    লকডাউন চলাকালীন সময়ে ওয়ার্ড এলাকার ব্যাংক, ৪০টি মুদি দোকান, ঔষুধের দোকান খোলা রাখার সিদ্ধান্ত হয়। তবে প্রথম সপ্তাহে মুদি দোকানগুলো বন্ধ থাকবে। চসিকের ব্যবস্থাপনায় কোভিড ও নন কোভিড রোগীদের চিকিৎসা ও হাসপাতালে প্রেরণের জন্য সার্বক্ষণিক এ্যাম্বুলেন্স সেবা রাখা হবে। এলাকার রোগীদেরকে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হবে।

    বেসরকারি হাসপাতালে সেবা প্রার্থীদেরকে চসিকের এ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট সেবা কেন্দ্রে পৌঁছে দেয়া হবে। স্বেচ্ছাসেবক টিমের মাধ্যমে অস্বচ্ছল ও নি¤œ আয়জীবীদের জন্য খাদ্য সহায়তার ব্যবস্থা করা হবে। তাছাড়া চসিকের পরিচালনায় চলমান বাজার ব্যবস্থাপনার অংশ হিসেবে ভ্যান গাড়ি ও ই-কমার্স বিপণনের মাধ্যমে নিত্যপণ্য নায্যমূল্যে বিক্রি করা হবে।  লকডাউন চলাকালীন প্রশাসনের সাথে মহল্লা ভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবক টিম কাজ করবে।

    প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৬ জুন, ২০২০