• সর্বশেষ আপডেট

    ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষক সহ ৪জনের বিরুদ্ধে মামলা


    মাসুদ রানারা, জারহাট, কুড়িগ্রামঃ- রাজারহাটে মাদরাসা ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষক সহ ৪জনের বিরুদ্ধে থানায়মামলা রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি ॥ কুড়িগ্রামের রাজারহাটেমাদরাসা ছাত্রি ধর্ষণ ও ধর্ষককে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ায় ধর্ষক সহ৪জনের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার রাতে থানায় মামলা হয়েছে।

    মামলা   সূত্রে   জানা   গেছে,উপজেলার   ঘড়িয়ালডাঁঙ্গাইউনিয়নের   ফতেখাঁ   কারামতিয়া   দাখিল  মাদরাসার এক দাখিলপরীক্ষার্থীনীর  সাথে  পার্শবর্তী উলিপুর  উপজেলার  ঠুটাপাইকর ইউনিয়নের  কর্পূরা   গ্রামের   মোফাজ্জল   হোসেনের   পুত্র   সেফারুলইসলাম (২৫) এর পূর্ব পরিচয় ছিল। এরই সুবাদে গত ১৩এপ্রিল বিকেলে   তাকে   বিয়ের   প্রলোভন   দিয়ে   উলিপুর   উপজেলার  সাহেবেরকুঠি  গ্রামে   সেফারুলের   ভগ্নিপতি   রফিকুল   ভাংরীর   বাড়িতেনিয়ে যায়। পরে সেখানে জোড় পুর্বক মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। ওইরাতে   আবারো   ধর্ষক   ছাত্রীটিকে   ফুসলিয়ে   নিয়ে রাজারহাটউপজেলার বোতলারপাড় বাজারে আসলে এলাকাবাসী সন্দেহ জনকভাবেতাদেরকে আটক করে।

    এসময় ছাত্রীটি ধর্ষিতা হওয়ার অভিযোগ করে।এনিয়ে পরদিন রাতে স্থানীয় রাজারহাট উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানআশিকুল  ইসলাম   সাবুর  বাড়িতে   শালিসি  বৈঠক হয়। শালিসেধর্ষক   সেফারুল  ধর্ষনের   কথা   স্বীকার   করে। এসময়   বোতলারপাড়গ্রামের   নজরুল   ইসলামের   পুত্র   রফিকুল  ইসলাম  সহ   ৪/৫জন   ব্যক্তিলাঠি   সোডা   নিয়ে   শালিস   বৈঠকে   উপস্থিত   হয়ে   বিভিন্নভয়ভীতি দেখিয়ে ও বিষয়টি আপোস করার মিথ্যা আশ্বাস দিয়েধর্ষক সেফারুলকে উঠিয়ে নিয়ে যায়। পরে ধর্ষিতা জ্ঞান হারিয়েঅচেতন হয়ে পড়লে তাকে অসুস্থ্য অবস্থায় রাজারহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এঘটনায় গত মঙ্গলবার রাতে ধর্ষিতারপিতা বাদি হয়ে ধর্ষক সেফারুল সহ ৪জনের বিরুদ্ধে রাজারহাটথানায় মামলা দায়ের করেন।

    উল্লেখ্য বোতলারপাড় গ্রামের রফিকুল ইসলাম ইতোপূর্বেআলোচিত   হিন্দু   সম্প্রদায়ের   এক  স্কুলছাত্রী   গণধর্ষন   মামলারচার্জসীটভূক্ত প্রধান আসামী ছিল বলে জানা গেছে। রাজারহাট থানার অফিসার ইনচার্জ রাজু সরকার মামলারসত্যতা নিশ্চিত করে জানান,আসামী গ্রেফতারে পুলিশি তৎপরতাঅব্যাহত রয়েছে।


    প্রকাশিত: বুধবার, ২০ মে, ২০২০