• সর্বশেষ আপডেট

    এটিএম শামসুজ্জামানের মৃত্যুর গুজব

    এটিএম শামসুজ্জামানের মৃত্যুর গুজব

    আবু তাহের মোহাম্মদ শামসুজ্জামান (সংক্ষেপে এটিএম শামসুজ্জামান হিসাবেই অধিক পরিচিত; জন্ম ১০ সেপ্টেম্বর ১৯৪১) হচ্ছেন একজন বাংলাদেশী অভিনেতা, পরিচালক, কাহিনীকার, চিত্রনাট্যকার, সংলাপকার ও গল্পকার। অভিনয়ের জন্য আজীবন সম্মাননাসহ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন ছয় বার।

    এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আবারো একুশে পদক পাওয়া চলচ্চিত্র অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামানের মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। বিষয়টি নিয়ে বরাবরের মতো ফের বিব্রত তার পরিবার। শুক্রবার (১৫ মে) বিকেল থেকেই ফেসবুকে তার মৃত্যুর মিথ্যা খবর ছড়িয়ে পড়ে।

    বরেণ্য এই অভিনেতা বর্তমানে নিজ বাসাতেই আছেন এবং সুস্থ আছেন। 

    এ খবর নিশ্চিত করে তার ভাই সালেহ জামান সেলিম সময় সংবাদকে বলেন, প্রতি রমজানেই ভাইয়ার (এটিএম শামসুজ্জামানের) মৃত্যুর গুজব ছড়ানো হয়। 

    তিনি বলেন, এ পর্যন্ত আমার ভাইয়াকে কতবার মেরে ফেলা হলো তা হয়তো হিসাব কারো কাছেই নেই।  বিশেষ করে প্রতি রমজানে এই রকম মিথ্যা খবর বেশি নাড়াচাড়া দিয়ে ওঠে। বিশেষ করে জামায়াত-শিবিরের বেশকিছু গ্রুফ থেকে মৃত্যুর খবর ছড়ানো হয়। তিনি বর্তমানে ভালো আছেন এবং নিজ বাসাতেই আছেন।

    এর আগেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ কিছু গণমাধ্যমে একাধিক মৃত্যুর খবর প্রকাশ হয় এটিএম শামসুজ্জামান। দীর্ঘদিন চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাসাতেই অবস্থান করছেন। ধর্মীয় গ্রন্থ আর বই পড়ে দিন কাটছে তার। 

    উল্লেখ্য, ১৯৪১ সালের ১০ সেপ্টেম্বর জন্ম নেওয়া এ অভিনেতার চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় ১৯৬৮ সালে, গ্রামের বাড়ি লক্ষীপুর জেলার ভোলাকোটের বড় বাড়ি আর ঢাকায় থাকতেন দেবেন্দ্রনাথ দাস লেনে। পড়াশোনা করেছেন ঢাকার পগোজ স্কুল, কলেজিয়েট স্কুল, রাজশাহীর লোকনাথ হাই স্কুলে। পগোজ স্কুলে তার বন্ধু ছিল আরেক অভিনেতা প্রবীর মিত্র। ম্যাট্রিকুলেশন পাশ করেন ময়মনসিংহ সিটি কলেজিয়েট হাই স্কুল থেকে। তারপর জগন্নাথ কলেজে ভর্তি হন। তার পিতা নূরুজ্জামান ছিলেন নামকরা উকিল এবং শেরে বাংলা একে ফজলুল হকের সঙ্গে রাজনীতি করতেন। মাতা নুরুন্নেসা বেগম। পাঁচ ভাই ও তিন বোনের মধ্যে শামসুজ্জামান ছিলেন সবার বড়।

    ১৯৮৭ সালে কাজী হায়াত পরিচালিত দায়ী কে? চলচ্চিত্রে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান।


    প্রকাশিত: শনিবার, ১৬ মে, ২০২০