• সর্বশেষ আপডেট

    ফরিদপুরে সালথা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও থানা (ওসি) করোনাভাইরাস সংক্রামণ রোধে যাদের ভূমিকা প্রশংসনীয়।

    ফরিদপুরে সালথা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও থানা (ওসি) করোনাভাইরাস সংক্রামণ রোধে যাদের ভূমিকা প্রশংসনীয়।

    সোহান উজ্জামান সুমন, সালথা ফরিদপুর প্রতিনিধিঃ- সারা পৃথিবীর ন্যায় করোনা সংক্রমন থেকে সালথা বাসীকে করোনা মুক্ত রাখতে ফরিদপুর জেলা প্রশাসক অতুল সরকারের নির্দেশে করোনা প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকে সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছেন সালথা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ হাসিব সরকার ও থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ,

    দেশে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের দুই মাস অতিক্রম করেছে। সালথা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ হাসিব সরকার ও সালথা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ (ওসি) এর অক্লান্ত পরিশ্রম এর কারণে ফরিদপুরে একটি মাত্র উপজেলা সালথা এখনো করোনা ভাইরাস সংক্রমণ নেগেটিভ। জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে এদের ভুমিকা উপজেলায় মানব সেবায় নজীর হয়ে থাকবে। নিজ চোখে দেখেছি জীবনের মায়া ত্যাগ করে সরকারি আদেশকে প্রাধান্য দিয়ে ফরিদপুর জেলা প্রশাসক অতুল সরকারের নির্দেশক্রমে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা চেয়ারম্যান সেনাবাহিনী এবং পুলিশ সদস্য সহ সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও সহযোগিতায় আমরা এখনো শান্তিতে নিঃশ্বাস নিতে পারছি। 

    নিজের ফ্যামিলি পরিজনের কথা না ভেবে প্রতিটি হাটবাজার সহ বিভিন্ন স্থাপনায় ও গ্রামে গ্রামে মানুষকে ঘরমুখী করতে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন উনারা। এ ছাড়াও করুনা ভাইরাসের সংক্রমণ লগ্নে কয়েকটি ইউনিয়নে বিদেশ ফেরত ঢাকা ,নাঃগঞ্জ, থেকে ফেরত আসা লোকজনের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তালিকা তৈরী করে তাদেরকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নিশ্চয়তা সহ ওইসব বাড়িতে লাল ফ্লাগ চিহ্নিতকরণ ও স্টিকার স্থাপন। এবং প্রতিটি মানুষকে সচেতন করেই দায়িত্ব শেষ করেননি। 

    প্রায় সময়ই উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার, দোকান-পাট, ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান, রাস্তা-ঘাটে পথচারীদের সচেতনতা বৃদ্ধি ও সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখাসহ অধিকতর সচেতনতায় করোনা সম্পর্কিত বিভিন্ন পরামর্শ ছাড়াও অহেতুক ঘোরাফেরা-আড্ডাবাজি বন্ধ করে বাড়ি ফিরে যাওয়ার পরামর্শ প্রদান করেন।


    উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ হাসিব সরকার বলেন, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জেলা প্রশাসনের নির্দেশনায় শুরু থেকেই উপজেলা প্রশাসন, থানা পুলিশ, সেনা বাহিনী ও র‍্যাব সদস্যরা যৌথভাবে কাজ করে আসছে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টার কারণে এখনো সালথা বাসী করোনা ভাইরাস মুক্ত। তিনি আরো বলেন, করোনায় নিত্য-প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যে স্থিতিশীল রাখতে উপজেলার সকল বাজার মনিটরিং করা হয়েছে। জনসমাগম রোধে আমি এবং জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের একজন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে ও চায়ের দোকানে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছি। ইতিমধ্যে আইন অমান্য করায় বেশ কিছু লোককে জরিমানাও করা হয়েছে। এছাড়াও কর্মহীন হয়ে পড়া অসহায় ৮'হাজার ৯শ’ টি পরিবারের মাঝে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ত্রান পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।

    আজকে আরো ২৬'শ ৪০টি পরিবারকে এ ত্রান দেয়া হচ্ছে, এবং আগামী কাল ও পরশু আরো ১৫'শ জনকে মানবিক সহায়তা কার্ডের মাধ্যমে এ ত্রাণ দেয়া হবে। ইতিমধ্যে ১৩ হাজার পরিবার ত্রাণের আওতায় রয়েছে। ত্রান পৌঁছানোর কাজে উপজেলা পরিষদ, উপজেলা প্রশাসন, থানা পুলিশ, ইউপি চেয়ারম্যান ও শিক্ষকবৃন্দ কাজ করেছেন। উপজেলাবাসীকে করোনা ভাইরাস থেকে বাচঁতে উপজেলা প্রশাসনের পাশাপাশি সকলের সহযোগিতা আশা করে, সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করেন। 


    প্রকাশিত: শনিবার, ০৯ মে, ২০২০