• সর্বশেষ আপডেট

    পোশাক শ্রমিক মৌসুমীর রহস্যজনক মৃত্যু

    চেয়ারম্যান কে ফাঁসানোর চেষ্টা - প্রকৃত ঘটনা এখনো  অন্ধকার


    কামরান হাবিব, রংপুরঃ- ঢাকাস্থ গার্মেন্টস শ্রমিক মোছাঃ মাহমুদা আক্তার মৌসুমী (২২)  ঈদের ছুটিতে তার নিজ গ্রামের বাড়ী লালমনিরহাটর জেলার পাটগ্রাম উপজেলাধীন বুড়িমারী ইউনিয়নের আমবাড়ী এলাকায় আসার উদ্দেশ্যে চেষ্টা করছিলেন কিন্তু গণপরিবহন বন্ধ থাকায় বিকল্প পন্থায় নিজ এলাকার এক‌টি পরিচিত ট্র্যাক পেয়ে গত ২১ মে ঢাকা থেকে  বাড়ীর পথে রওনা দেন। এমতাবস্থায় রংপুর তাজহাট এলাকায় ক্যাডেট কলেজ মোড়ের সামনে দীর্ঘ ১৪ ঘন্টা ধরে অবস্থান করা একটি ট্র্যাকের কেবিন এর ভিতর থেকে তরুনীর মরাদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

    রংপুর মেট্রোপলিটন তাজহাট থানার ওসি রোকনউদ্দিন জানান ট্রাক চালক আজিজুল ও হেলপার রতন এর দাবি বুড়িমারীর শফিকুল ইসলাম নামক এক ড্রাইভারের ফোনের অনুরোধে গত ২১মে বৃস্হপতিবার রাত সারে ১১টায় টঙ্গীর হারিকেন এলাকা থেকে ওই তরুনীকে ট্র্যাকের কেবিনে উঠানো হয়। এরপর তাকে নিয়ে ঢাকায় গাউসিয়া হয়ে মুন্সীর পাম্পে গিয়ে গরুর মশারি লোড করে রংপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। পথিকৃৎ মধ্যে আব্দুল্লাহপুরে এসে ওই ট্র্যাকে উঠেন আজিজুলের ভাতিজা বদি মিয়া। চান্দিনা এলাকা পার হওয়ার পর বদি জানান মেয়েটি মারা গেছে।২২ মে শুক্রবার সকাল ৭ টায় দিকে  রংপুর ক্যাডেট কলেজের সামনে ট্রাকটি দাঁড় করায় ড্রাইভার। তবে তারা বিষয়টি পুলিশকে অবগত না করে বুড়িমারীতে মেয়েটির পিতা  মোস্তফাকে জানান। তবে পিতার অভিযোগ মেয়েটিকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। মেয়েটির পিতা মরাদেহ বুড়িমারী ফিরে যান।

    বিষয়টি সেদিন সন্ধ্যায় পুলিশ জানার পর পুলিশ ড্রাইভার, হেলপার সহ মেয়েটির মরাদেহ উদ্ধার করে। ওসি রোকনউদ্দিন আরো জানান মেয়েটি করোনায় মারা গেছেন  নাকি ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে তার বিস্তারিত ময়না তদন্তে বেড়িয়ে আসবে। তবে ট্র্যাকটি যে মশারি ছিলো ত রংপুর নগরীর স্টেশন রোডের খাঁন বেডিংয়ের জন্য। অনুসন্ধান ও ঘটনার সুএ অনুসারে মৌসুমীর বাবা মোস্তফা ও মা সায়েরা বেগম এর বক্তব্য ভিন্ন রকম। মা বলছে চেয়ারম্যান সার্বিক সহযোগিতা করেছেন এছাড়াও চেয়ারম্যান খুবেই ভাল মানুষ অপরদিকে বাবা মোস্তফা বলছেন ভিন্ন সুরে কথা। সবমিলিয়ে বিষয়টি এখনও রহস্যময় কাহিনী। তবে এ এঘটনায় মৌসুমীর বাবা ৫ জন কে সন্দেহ করে অভিযোগ তুলেছেন।

    ঘটনার সত্যতা উদঘাটন করতে দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন পুলিশ, RAB, জেলা প্রশাসন,  বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা সহ গণমাধ্যম কর্মীগন। অভিযোগের সুএ ধরে বুড়িমারী ইউপি চেয়ারম্যান আবু  সাঈদ নেওয়াজ নিশাত এর সাথে কথা হলে তিনি জানান গত ২২ মে মৌসুমীর মা আমাকে বিষয়টি অবগত করলে আমি পাটগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ সুমন কুমার মোহন্তকে ঘটনাটি অবগত করি। এছাড়াও আমি মৌসুমির মরা দেহ নিয়ে আসার জন্য তার বাবাকে পাঠিয়ে দিয়েছি অপেক্ষা করছি। ইতিমধ্যে এলাকাবাসী ও মৌসুমীর স্বজনদের সাথে আলোচনা করে তার দাদা কবরের পাশে কবর দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করি। কিন্তু হঠাৎ করে মৌসুমী বাবা রহস্যজনক কারণে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করে আমাকে সামাজিক ও মানষিক ভাবে হেওপ্রতিপণ্য করেছে।

    বিষয়টি অনাকাঙ্ক্ষিত। তবে আমি মৌসুমীর মৃত্যুর সঠিক  রহস্য উদঘাটন ও প্রকৃত অপরাধীদের বিচারের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। তবে এদিকে সচেতন মহল যে বিষটি নিয়ে আলোচনা করছেন তার বহি: প্রকাশে থাকছে গুরুত্বপুর্ণ দুটি বিষয় প্রথমত মৌসুমীর মৃত্যুর রহস্য দ্বিতীয়ত নদীতে লাশ কেনো। সবমিলিয়ে বিষয়টি এখনো রহস্যময় এক গল্প কাহিনী। অপরদিকে মৌসুমী করোনা  আক্রান্ত গুজব ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে চেয়ারম্যান এর সাক্ষাৎকার ও বক্তব্য ছাড়াই মনগড়া সংবাদ পরিবেশন সাংবাদিকতা পেশাকে অনেকটা প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। এবিষয়ে লালমনিরহাট জেলা পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানা বিপিএম পিপিএম জানান দ্রুত সময়ের মধ্যে মৌসুমীর মৃত্যু রহস্য বেড়িয়ে আসবে।তদন্ত  চলমান রয়েছে, আমরা সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।


    প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৮ মে, ২০২০