• সর্বশেষ আপডেট

    আজ তেলিয়াপাড়ায় ঐতিহাসিক দ্বিতীয় সেনা সভা অনুষ্ঠিত | Digonto News BD


    পিন্টু অধিকারী,মাধবপুর(হবিগঞ্জ):: ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ দ্বিতীয় সেনা সভাটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ৪ঠা এপ্রিলের প্রথম সেনা সভার সিদ্ধান্তানুযায়ী ১০ এপ্রিল একই স্থানে ( তেলিয়াপাড়া চা বাগানের বড়ো বাংলোতে) এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    উক্ত সভায় উপস্থিত ছিলেন, কর্নেল এম এ জি ওসমানী, লেঃ কর্নেল (অবঃ) এম এ রব, লেঃ কর্নেল সালাউদ্দিন মোহাম্মদ রেজা, মেজর খালেদ মোশারফ, মেজর কে এম সফিউল্লাহ, মেজর জিয়াউর রহমান, মেজর কাজী নুরুজ্জামান, মেজর নুরুল ইসলাম, মেজর শাফায়াত জামিল, মেজর মঈনুল হোসেন চৌধুরী প্রমূখ। 

    ভারত সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিএসএফ প্রধান রস্তমজী, বিএসএফ এর পূর্বাঞ্চলীয় মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার ভি সি পান্ডে ও আগরতলা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ওমেস সায়গাল। 

    মূলত ৪ঠা এপ্রিল তেলিয়াপাড়ায় অনুষ্ঠিত ঐতিহাসিক প্রথম সেনা সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত সমূহ বাস্তবায়নের অগ্রগতি মূল্যায়নের জন্য দ্বিতীয় সেনা সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। তেলিয়াপাড়ার ঐতিহাসিক সেনা সভার ফলশ্রুতিতেই ১০ এপ্রিল জনাব তাজউদ্দীন আহমেদ প্রবাসী বাংলাদেশ সরকার গঠনের ঘোষণা দেন। 


    ঐ ঘোষণারই আনুষ্ঠানিক বাস্তবায়ন ঘটে ১৭ এপ্রিল মেহেরপুরের সীমান্তবর্তী বৈদ্যনাথতলা গ্রামের আম্রকাননে প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের আনুষ্ঠানিক শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে। ৪ঠা এপ্রিলের সেনা সভায় সমগ্র বাংলাদেশকে ৪টি সামরিক অঞ্চলে বিভক্ত করা হয়েছিল।১০ এপ্রিলের সেনা সভায় পুরো দেশকে ৪টির স্থলে ৬ টি সামরিক অঞ্চলে বিভক্ত করার সিদ্ধান্ত হয় ।পরদিন ১১ এপ্রিল প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমেদ শিলিগুড়ি বেতারকেন্দ্র থেকে  সমগ্র বাংলাদেশকে ৮টি সামরিক অঞ্চলে বিভক্ত করে ৮ জন সেক্টর কমান্ডার নিয়োগের ঘোষণা দেন।


    প্রকাশিত: শুক্রবার, ১০ এপ্রিল, ২০২০