• সর্বশেষ আপডেট

    রামুর ঈদগড়ে ক্ষতিগ্রস্ত সবজি চাষিরা | দিগন্ত নিউজ


                                        
    হামিদুল হক,রামু(কক্সবাজার):: কক্সবাজার জেলার রামু উপজেলার ঈদগড়ে এবার আবহাওয়া অনুকূল ও উর্বর মাটি হওয়ায় সবজির বাম্পার ফলন হয়েছে। দিগন্ত জোড়া সবজি ক্ষেত। যে দিকে চোখ যায় সবজি আর সবজি। তবে সবজির বাম্পার ফলন হলেও করোনাভাইরাসের কারণে দৃশ্যপট পাল্টে গেছে। ক্রেতা নেই, বাজার বন্ধ, আসে না ব্যাপারিও। পাইকার না আসায় বড় ধরনের লোকসানের মুখে পড়েছেন চাষিরা। লোকসানে পড়ে ঋণের বোঝা পরিশোধ নিয়ে চিন্তিত তারা।

    এখন দেশে করোনা পরিস্থিতিতে বাজারগুলোতে ক্রেতা না থাকায় অনেকটাই বিপাকে পড়েছেন এ অঞ্চলের চাষিরা। ক্রেতার অভাবে দরপতন হয়েছে পাইকারি সবজির বাজারগুলোতে। গণপরিবহণ সংকটের কারণে আশপাশের এলাকা থেকে পাইকার আসছে না সবজির বাজারে। আর তাই বাজারে সবজি বিক্রি করতে গিয়ে রিকশা ও ভ্যানের খরচ ওঠাতে পারছেন না চাষিরা। স্থানীয়ভাবে আসা ক্রেতাদের কাছে স্বল্পমূল্যে কিছু সবজি বিক্রি করা গেলেও ন্যায্যমূল্য পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে উৎপাদিত সবজি বাজারে নিতে রিকশা বা ভ্যান ভাড়াও পাচ্ছেন না কৃষকরা।


    উপজেলার ঈদগড় ইউনিয়নের বড়বিল গ্রামের কৃষক জহির জানান, জমিতে বিভিন্ন রকমের সবজির চাষ করেছেন। বতর্মানে সবজির দাম এত কম যা উৎপাদিত খরচ ও শ্রমিক খরচ উঠাতে হিমশিম খেতে হয়। মৌসুমের শুরুতেই করোনা আতংকে পরিবহণ চলাচল বন্ধ থাকায় সবজি বাজারজাত করতে না পেরে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে। ঈদগড় ইউনিয়নের আওয়ামীলীগ সভাপতি হাজী নুরুল আলম বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে আশানুরূপ দাম না পাওয়ায় এবার লোকসানে পড়ে ঋণের বোঝা টানতে হবে কৃষকদের। তাই তিনি জনপ্রতিনিধিদের এসব চাষির কাছ থেকে সবজি কিনে খাদ্য সামগ্রীর সঙ্গে যোগ করে বিতরণ করার আহ্বান জানান।


    প্রকাশিত: বুধবার, ২২ এপ্রিল, ২০২০