• সর্বশেষ আপডেট

    পুলিশ পরিচয়ে অপহরণ ও অর্থ আদায়ের অভিযোগে ৬ জন গ্রেপ্তার


    মুকুল হোসেন,বাগমারা::  ঢাকা ফেরৎ এক গার্মেন্টসকর্মী (৩০) ও তার দোলা ভাই জোনাব আলী (৪৮) কে পুলিশ পরিচয়ে অপহরন করে অর্থ আদায় চেষ্টার অভিযোগে রাজশাহীর বাগমারা থানার ভাগনদী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৬ বখাটেকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছে, ভাগনদী গ্রামের পল্লী চিকিৎসক ও আদম বেপারী সুফল হোসেন (৪৮), আলমগীর হোসেন(২৪), সাগর আলী (৩০), আব্দুল হান্নান (৩৫), পলাশ হোসেন (২৩) ও শ্রীপতিপাড়া গ্রামের তোহা খান (২৫)। এই সংবাদ লেখা পর্যন্ত বখাটেদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে বাগমারা থানার পুলিশ জানিয়েছে।

    ভাগনদী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ জানায়, গতকাল বুধবার (২৩ এপ্রিল) সকালে জনৈক নারী গার্মেন্টস কর্মী ঢাকা থেকে নিজ বাড়ি উপজেলার গোয়ালকান্দি ইউনিয়নের তেলিপুকুর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়।


    সন্ধ্যায় তিনি নাটোরে পৌঁছার পর তার দোলাভাই হামিরকুৎসা ইউনিয়নের নখোপাড়া গ্রামের জোনাব আলীকে ওই নারী গার্মেন্স কর্মী এগিয়ে নেয়ার খবর দেয়। খবর পেয়ে দোলাভাই জোনাব আলী তার এক বন্ধুকে নিয়ে গার্মেন্স কর্মীকে এগিয়ে নিতে একই ইউনিয়নের শ্রীপতিপাড়া এলাকায় যায়। গাড়ী না পেয়ে দোলাভাই জোনাব আলী তার বন্ধুসহ ওই গার্মেন্স কর্মীকে সাথে পায়ে হেটে নখোপাড়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়। সন্ধ্যা সাড়ে ৮ টার দিকে তারা ভাগনদী পুলিশ ফাঁড়ির ৫০০ গজ দূরে পৌঁছতেই একই এলাকার ৬ বখাটে তাদের পথরোধ করে নিজেদের পুলিশের পরিচয় দেয় এবং পার্শ্বের আম বাগানে নিয়ে গিয়ে গার্মেন্টস কর্মীসহ তিনজনকে গাছের সাথে রশি দিয়ে বেঁধে অর্থ আদায়ের জন্য মারধর ও নানা ভাবে নির্যাতন শুরু করে। 

    এক পর্যায়ে গার্মেন্টস কর্মীর দোলাভাই জোনাব আলীকে বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য বখাটেরা ছেড়ে দেয়। জোনাব আলী সেখান থেকে পালিয়ে আসে এবং ঘটনাটি ভাগনদী পুলিশ ফাঁড়িতে জানায়। বিষয়টি জানার সাথে সাথে ভাগনদী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুর রহিম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে সেখানে হানা দেয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বখাটেরা পালিয়ে যায়। ওই সময় পুলিশ গাছে বাঁধা গার্মেন্টস কর্মীসহ দুইজনকে উদ্ধার করে ভাগনদী পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে আসে। নির্যাতিতাদের বর্ণনানুসারে ঘটনার সাথে জড়ির আলমগীর হোসেন নামের এক বখাটেকে গ্রেপ্তার করে। 


    তার তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে অন্যান্যদের গ্রেপ্তার করে। পুলিশের জিজ্ঞাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা ঘটনার সাথে জড়িত ছিল বলে স্বীকার করে। খবর পেয়ে রাজশাহীর সদর সার্কেল সহকারী পুলিশ সুপার সুমন দেব ঘটনাস্থলে আসছেন বলে পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছেন। এই সংবাদ লেখা পর্যন্ত গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাবাদ চলছে বলে জানা গেছে।

    এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে বাগমারা থানার ওসি আতাউর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন এবং গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান।


    প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২০