• সর্বশেষ আপডেট

    করোনা ঠেকাতে রাজশাহীর বাগমারা গ্রামকে লকডাউন ঘোষণা


    মুকুল হোসেন,বাগমারা(রাজশাহী)::  রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার মাড়িয়া ইউনিয়নের যাত্রাগাছি গ্রামে করোনা ভাইরাস সংক্রামিত কোভিড-১৯ আক্রান্ত এক রোগি শনাক্ত হওয়ার পর ৩৩ গ্রামকে লকডাউন ঘোষণা করেছে উপজেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার মাড়িয়া ইউনিয়নের সবগুলো গ্রামকে লকডাউন করা হয়। এছাড়া করোনা আক্রান্ত যুবকের পরিবারের আরও চার সদস্যের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়েছে।

    উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাড়িয়া ইউনিয়নের যাত্রাগাছি গ্রামের আব্দুস সালামের পুত্র জাহাঙ্গীর আলম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। জাহাঙ্গীর নারায়নগঞ্জের একটি পোশাক কারখানায় কর্মরত ছিলেন। গত ৬ এপ্রিল তিনি নারায়নগঞ্জ থেকে পালিয়ে বাড়িতে আসেন। এরপর তাকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়। গত ১১ এপ্রিল তার নমুনা পরীক্ষার জন্য রাজশাহীর ল্যাবে পাঠানো হয়। পরদিন নমুনা পরীক্ষার ফলাফল পজেটিভ আসে। আক্রান্ত জাহাঙ্গীর আলমকে নিজ বাড়িতে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।


    বাগমারা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. গোলাম রাব্বানী জানান, আক্রান্ত জাহাঙ্গীর আলমের শারীরিক অবস্থা উন্নতির দিকে। তার জ্বর ও কাশি রয়েছে। তবে শ্বাসকষ্ট নেই। আমরা তার ওষুধ ও অন্যান্য সহযোগিতা দিয়ে আসছি। জাহাঙ্গীর পরিবারের আরও চার সদস্যের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছেন জাহাঙ্গীরের বাবা, মা, নানা ও মামা।

    মাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসলাম আলী আসকান জানান, করোনা সংকট শুরু হওয়ায় এরই মধ্যে আমরা ৬০০ পরিবারকে ১০ কেজি করে চাল বরাদ্দ দিয়েছি। আরো ৫২৫টি পরিবারকে অনুরূপ সহায়তা দেওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এছাড়া আমার তাৎক্ষনিক সেবা কেন্দ্র খুলেছি। সেখানে কেউ ফোন করলে তাকে খাদ্য পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।


    বাগমারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরিফ আহম্মেদ জানান, লকডাউন ঘোষণার পর যাতে ওই ইউনিয়নের কেউ খাদ্য সংকটে না পরেন, আমরা তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। এছাড়া নারায়নগঞ্জ ও ঢাকাসহ বিভিন্ন করোনা আক্রান্ত জেলা থেকে বাগমারায় আগত ব্যক্তিদের তালিকা করে তৈরি করে তা সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যানদের কাছে পাঠানো হচ্ছে; যাতে তাদের হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করা হয়। বিষয়টি আমরা কঠোরভাবে মনিটরিং করছি।


    প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২০