• সর্বশেষ আপডেট

    আনোয়ারায় ত্রাণে সমন্বয়হীনতা,কেউ পায় বারবার,কেউ পায় না একবার!


    এস,এম,সালাহ্উদ্দীন,আনোয়ারা:: করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে দেশজুড়ে চলছে লকডাইন। এ অবস্থায় আয়-রোজগার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সংকটে পড়েছে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের পরিবারগুলো। ঘরে খাবার নেই অথচ কাউকে বলতেও পারছেন না অনেকে। দেশের এই ক্রান্তিকালে সরকার প্রধান দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়াতে এগিয়ে এসেছেন ত্রাণ সহযোগিতা দিয়ে। তারই ধারাবাহিকতায় আনোয়ারা উপজেলায় ১১টি ইউনিয়নে ত্রাণ দেওয়া হচ্ছে সরকারের পক্ষ থেকে, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধূরী জাবেদ এর ব্যাক্তিগত পক্ষথেকে,মহিলা এমপি বেগম ওয়াসিকা আয়শা খাঁনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যাক্তিবর্গ ও সমাজিক সংগঠনের পক্ষথেকে। 

    তবে সমন্বয়হীনতা এবং সুনির্দিষ্ট তালিকা না থাকায় এই ত্রাণ একবার যারা পাচ্ছেন বিভিন্নভাবে তারাই বারবার পাচ্ছেন। আর যারা পাচ্ছেন না তাঁরা একেবারেই পাচ্ছেন না। সেই সাথে দলীয় বিবেচনা ও জন প্রতিনিধিদের স্বজনপ্রীতির অভিযোগ ও পাওয়া যাচ্ছে। অনেকেই বলেছেন জনপ্রতিনিধিদের সাথে যোগাযোগ করেও নিরাশ হচ্ছেন তারা। এব্যাপারে আনোয়ারা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জামিরুল ইসলাম বলেন,আনোয়ারায় ১ম ধাপে সরকারের পক্ষ থেকে ২৬০০পরিবারকে এবং ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধূরী জাবেদ মহোদয়ের ব্যাক্তিগত পক্ষ থেকে ৫০০০পরিবারকে ত্রাণ দেওয়া হয়।


    ২২শে এপ্রিল(বুধবার) ২য় ধাপে দেওয়া হচ্ছে সরকারের পক্ষ থেকে ৩৯০০পরিবারকে এবং মন্ত্রী মহোদয়ের পক্ষ থেকে ৫০০০পরিবারকে দেওয়ার জন্য জন প্রতিনিধিদেরকে দেওয়া হয়েছে। ওনারা যাচাই বাচাই করে ত্রাণ পাওয়ার যোগ্য ব্যাক্তিদেরকে দিচ্ছে বলে জানান তিনি। ত্রাণ বিষয়ে আনোয়ারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দুলাল মাহমুদ বলেন, এসপি স্যার ও আনোয়ারা থানার সকল কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে ১ম ধাপে ৫৫০টি পরিবারকে ত্রাণ দেওয়া হয়েছে। এবং ২য় ধাপে আরো ২৫০টি মতো পরিবারকে ত্রাণ দেওয়া হবে। অনেকেই ত্রাণের জন্য থানায় ফোন দিচ্ছে তাদের থেকে তথ্য এন্টি করে যাচাই করে তাদের বাড়ীতে গিয়ে গিয়ে ত্রাণ পৌছেঁ দিচ্ছেন বলে জানান তিনি। 

    এছাড়াও মহিলা এমপি ওয়াসিকা আয়শা খাঁন বিভিন্ন ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে গিয়ে ত্রাণ দিয়েছেন। তাছাড়া আবুল খায়ের ফাউন্ডেশন প্রায় ৫০০০টি পরিবারকে ত্রাণ বিরতরণ দিয়ে যাচ্ছেন। রাজনৈতিক ব্যাক্তিবর্গ ও সমাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। কিন্তু সচেতন মহল মনে করেন,রাজনৈতিক ব্যাক্তিবর্গ, উপজেলা প্রসাশন, ওয়ার্ডের মান্যগণ্য ব্যাক্তিরা,সামাজিক সংগঠণগুলো যদি সুনির্দিষ্ট একটা তালিকা তৈরীকরে ত্রাণ দিতো তাহলে ১১টি ইউনিয়নে কোনো গরীব পরিবার ত্রাণ পায় নাই বলতে পারতো না। 


    এব্যাপারে আনোয়ারা প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা ও বর্তমান সভাপতি আব্দুরনূর চৌধূরী বলেন, আনোয়ারায় ১ম ধাপে এবং ২য় ধাপে যে ত্রাণ গুলো দিয়েছে এবং দিচ্ছে সবগুলো সমন্বয় করে দেওয়া হলে ১১টি ইউনিয়নে ৯৯টি ওয়ার্ডে প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে কমপক্ষে ২০০টি পরিবার ত্রাণ পেতো এবং ত্রাণ না পাওয়ার অভিযোগ থাকতো না। তিনি উপজেলা প্রসাশন ও জনপ্রিতিনিধিদের সমন্বয়ে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত যাদের পরিবারে চলতে কষ্ট হচ্ছে তাদের  তালিকা তৈরীকরে ত্রাণ বিতরণ করার পরামর্শ দেন। 

    এব্যাপারে আনোয়ারা উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব তৌহিদুল হক চৌধূরী বলেন, আনোয়ারায় যতটুকু সম্বভ অসহায় ও নিম্নবিত্ত পরিবারগুলোকে যাচাই বাচাই করে ত্রাণ দেওয়া হচ্ছে। তারপরেও কেউ যদি না পেয়ে থাকে অথবা মধ্যবিত্ত সদস্য পরিবার নিয়ে চলতে কষ্ট হয়। তাহলে উপজেলায় এসে আমার সাথে যোগাযোগ করলে অবশ্যই সহযোগিতা করা হবে বলে জানান অথবা উপজেলা হটলাইন নাম্বারে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ জানান।


    প্রকাশিত: বুধবার, ২২ এপ্রিল, ২০২০