• সর্বশেষ আপডেট

    মাধবপুরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে সকল চা শ্রমিকরা স্বেচ্ছায় ছুটি।


    পিন্টু অধিকারী, মাধবপুর ( হবিগঞ্জ)  : হবিগঞ্জের মাধবপুর ও চুনারুঘাট লস্করভ্যালিসহ ২৩ টি বাগানের চা শ্রমিকরা স্বেচ্ছায় ছুটি পালন করছে। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে বাগান গুলোতে কোন কার্যকর পদক্ষেপ না নেয়া ও করোনা ঝুকির মধ্যে তাদের দিয়ে কাজ করানো হচ্ছে এসব অভিযোগে একযোগে ২৩ টি বাগানের চা শ্রমিকরা আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে স্বেচ্ছায় ছুটি কাটাবেন।

    সরেজমিনে সুরমা চা বাগানের সভাপতি রবীন্দ্র গৌড়ের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত একমাস ধরে চা শ্রমিক করোনা ভাইরাসের ঝুকি নিয়ে কাজ করছে। শ্রমিকদের পক্ষ থেকে বার বার তাদের নিরাপত্তার কথা ব্যবস্থাপক কে জানানোর পরও কোন সুফল না পাওয়ায় আমরা ২৩ টি বাগানের স্বেচ্ছায় ছুটি কাটানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। করোনা আতংকে মাধবপুর চুনারুঘাটের ২৩টি চা বাগানের প্রায় ৩৫ হাজার শ্রমিক স্বেচ্ছায় ছুটিতে গিয়েছেন। 


    বাগানের সাধারণ শ্রমিকদের মাঝে করোনা আতংক দেখা দেয়ায় তারা বাগানের সমুদয় কাজ বন্ধ রাখার দাবী জানিয়ে আসছিলো কিন্তু বাগান কর্তৃপক্ষ উপর মহলের নির্দেশ না থাকায় বাগান সচল রাখার সিদ্ধান্তে অটল থাকে। এ নিয়ে বাগান কর্তৃপক্ষের সাথে শ্রমিক নেতাদের কয়েক দফা বৈঠক হয় কিন্তু বাগান কর্তৃপক্ষ উপরের মহলের সিদ্ধান্ত ছাড়া বাগানের কাজ কাম বন্ধ রাখার বিপক্ষে অবস্থান নেয়।

    এরই প্রেক্ষিতে সোমবার শ্রমিক নেতাদের এক জরুরী বৈঠক হয় এতে মঙ্গলবার থেকে বুধবার বাগানে স্বেচ্ছা ছুটি ঘোষনা করা হয়।  চা কারখানাগুলোতেও চলছে কাজ। উপজেলায় ডানকান ব্রাদার্স,ন্যাশনাল টি কোম্পানী ও ব্যক্তিমালাকাধীন চা বাগানের সংখ্যা ২৩টি। এতে নিয়মিত শ্রমিক রয়েছেন ৩৫ হাজার। তাদের পোষ্যসহ সাধারন শ্রমিক রয়েছেন দেড় লাখের উপরে।  ওই শ্রমিকরা এক সাথে দল বেঁধে কাজে যায়। ঘরে ফিরে এসে পরিবারের শিশুদের সাথে মেলা মেশা করে, রান্না-বান্না করে তারা। বার বার হাত ধোয়ার রেওয়াজও চালু হয়নি বাগানগুলোতে।

    চা বাগানগুলোতে করোনা সতর্কতা এখনো জারি করা হয়নি। চা বাগানে স্বাস্থ্য কর্মীসহ জনপ্রতিনিধিরা এখনো শুরু করেননি করোনা প্রতিরোধ বিষয়ে কোন কাজ। বাগানের অলিগলিতে গড়ে উঠা বিভিন্ন পন্যের দোকান-পাট গভীর রাত পর্যন্ত খোলা থাকে। পাড়া- মহল্লার মদের দোকান গুলোও উন্মুক্ত। সুরমা চা বাগানের ব্যবস্থাপক আবুল কাসেম জানান, সুরমা চা বাগানে চা শ্রমিকদের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিনামূল্যে ৩ হাজার মাস্ক দিয়েছেন এগুলোসহ হ্যান্ডওয়াশ বিতরন করেছি পাশাপাশি চা শ্রমিকদের অধিক নিরাপত্তার জন্য পিপিই সরবরাহ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ছুটি বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাশনূভা নাশতারাণ বলেন, চা বাগান বন্ধ করার কোন নির্দেশনা এখনো আসেনি তবে শ্রমিকদের মাঝে করোনা সর্তকতা বাড়ানোর কাজ চলছে।

    প্রকাশিত: বুধবার, ১ এপ্রিল, ২০২০