• সর্বশেষ আপডেট

    কোন ক্রিকেটারের বেতন কত


    বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড ১৭ জন ক্রিকেটারকে কেন্দ্রীয় চুক্তির অন্তর্ভূক্ত করেছে, যেখানে সর্বোচ্চ বেতনের স্তরে থাকছেন মুশফিকুর রহিম, তামিম ইকবাল, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ এবং সৌম্য সরকার।

    মুশফিকুর রহিম ও তামিম ইকবাল এ প্লাস ক্যাটাগরিতে ‘লাল বল’ ও ‘সাদা বল’ এই দুই চুক্তিতেই আছেন। সর্বোচ্চ বেতন স্তরে থাকার কারণে এই চারজন ক্রিকেটার মাসে বেতন পাবেন চার লক্ষ টাকা করে।

    এর আগে প্রথমবার বিসিবি যে বিজ্ঞপ্তি দেয়, সেখানে সৌম্য সরকারের নাম ছিল না। পরে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু জানান, সৌম্য সরকারের নাম ভুলে বাদ দেয়া হয়েছিল।

    এর পরের স্তর অর্থাৎ এ ক্যাটাগরিতে আছেন শুধু মমিনুল হক সৌরভ – তিনি মাসে পাবেন তিন লক্ষ টাকা।

    বি ক্যাটাগরিতে রয়েছেন লিটন কুমার দাস, মেহেদী হাসান মিরাজ, মুস্তাফিজুর রহমান এবং তাইজুল ইসলাম। তবে তাইজুল সাদা বলের চুক্তিতে আছেন ডি ক্যাটাগরিতে। এই চারজন ক্রিকেটারের প্রতিজন প্রতি মাসে পাবেন দুই লক্ষ টাকা।

    সি ক্যাটাগরিতে আছেন, সাদা বলের চুক্তিতে মোহাম্মদ মিথুন ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। সি ক্যাটাগরির ক্রিকেটারেরা পাবেন দেড় লক্ষ টাকা করে প্রতি মাসে।

    ডি ক্যাটাগরিতে আছেন সাদা বলের চুক্তিতে থাকা নাইম শেখ, আফিফ হোসেন ধ্রুব ও নাজমুল হোসেন শান্ত এবং লাল বলের চুক্তিতে থাকা নাইম হাসান, এবাদত হোসেন চৌধুরী, আবু জায়েদ রাহী ও মোহাম্মদ মিথুন। এর মধ্যে লাল ও সাদা বল উভয় ক্ষেত্রেই ডি ক্যাটাগরিতে আছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ডি ক্যাটাগরির সবাই এক লাখ টাকা করে বেতন পাবেন।

    চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ক্রিকেটারদের ম্যাচ ফি বাড়ানো হয়। টেস্ট সংস্করণে প্রতি ম্যাচে একজন ক্রিকেটার এখন থেকে পাবেন ছয় লাখ টাকা। এর আগে যা ছিল তিন লাখ ৫০ হাজার টাকা।

    বেড়েছে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের ম্যাচ ফি। ওয়ানডেতে এর আগে ম্যাচ ফি ছিল দুই লাখ টাকা, তবে এখন থেকে ক্রিকেটারেরা পাবেন তিন লাখ টাকা করে।

    টি-টোয়েন্টিতে ২০১৭ সাল থেকে ক্রিকেটাররা পেতেন এক লাখ ২৫ হাজার টাকা করে, এখন থেকে পাবেন দুই লাখ টাকা। তবে এই অর্থ গ্রেড অনুযায়ী পাবেন ক্রিকেটাররা।

    আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার হিসেব অনুযায়ী বাংলাদেশ ক্রিকেটে যে পয়েন্ট সিস্টেম, তার ভিত্তিতে ক্রিকেটারদের বেতন বাড়তে পারে। বিবিসি

    প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১০ মার্চ, ২০২০