• সর্বশেষ আপডেট

    গাঁজা বিক্রির টাকার দ্বন্ধে নান্দাইলে অটো চালক রতন খুন,ডিবি’র হাতে গ্রেফতার চার,আদালতে স্বিকারোক্তি



    মোঃ ফজলুল হক ভুইঁয়া,ময়মননিংহ:: গাঁজা বিক্রির টাকার দ্বন্ধে নান্দাইলে অটো চালক রতনকে কৌশলে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনার পাঁচদিনের মধ্যে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ হত্যকান্ডে জড়িত চারজনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতরা আদালতে নিজের দায় এবং হত্যাকান্ডের বর্ণনা দিয়ে ১৬৪ ধারায় কবানবন্দি দিয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হলো, রিয়াদ আহমেদ সজিব, খোরশেদ আলম, সোহেল রানা ও রিপন মিয়া।

    প্রাপ্ত তথ্য মতে, গত ১৪ মার্চ নান্দাইলের রতন মিয়া অন্যান্য দিনের মত তার নিজ বাড়ী থেকে ব্যাটারী চালিত রিক্সা নিয়া বের হয়ে হয়। রতন মিয়া রাতে বাড়ীতে ফিরে না আসায় তার রহিমা খাতুনসহ বাড়ীর লোকজন তাকে খোঁজাখুঁজি করেন। ঐ দিন আর রতন বাড়ি ফিরেনি। পরদিন ভোরে নান্দাইলের বীর বেতাগৈর ইউনিয়নের চৈতনখালী গ্রামের জনৈক হান্নান মুন্সির ডাটা ক্ষেতে একজন অজ্ঞাতনামা এক যুবকের লাশ পড়ে থাকার খবর পান। এ সংবাদ পেয়ে মা রহিমা গিয়ে অজ্ঞাতনামা লাশটি তার ছেলে রতনের বলে সনাক্ত করেন। এ সময় নিহতের মাথায় ও শরীরে আঘাতের একাধিক চিহৃ দেখতে পান।

    ছেলে রতন হত্যাকান্ডের ঘটনায় মা রহিমা খাতুন নান্দাইল মডেল থানায় অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে মামলা নং-২১, তারিখ-১৬/০৩/২০২০, ধারা-৩০২/২০১/৩৪ দায়ের করেন।

    পুলিশ সুপার আহমার উজ্জামান মামলাটিকে অধিক গুরুত্ব দিয়ে দ্রুততম সময়ে ঘটনার রহস্য উদঘাটন এবং ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারে জেলা গোয়েন্দা পুলিশকে (ডিবি) দায়িত্ব দেন। দায়িত্ব গ্রহণের পর ডিবির ওসি শাহ কামাল আকন্দের পরিকল্পনা ও তত্বাবধানে এসআই আনোয়ার হোসেন মামলাটি তদন্ত শুরু করেন। চৌকুস দায়িত্বশীল পুলিশ অফিসার ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন কনষ্টেবল শাহিদ চৌধুরীসহ সংগীয় অফিসার ফোর্স গত ১৭ মার্চ রাতে ঈশ্বরগঞ্জে অভিযান পরিচালনা করে। এক পর্যায়ে মধ্যরাতে ঈশ্বরগঞ্জের মধুপুর বাজার থেকে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত রিয়াদ আহমেদ ওরফে সজিব, মোঃ খোরশেদ আলম, মোঃ সোহেল রানা ও মোঃ রিপন মিয়াকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতদের ১৮ মার্চ আদালতে প্রেরণ করে পুলিশ।

    এ সময় গ্রেফতারকৃতরা তাদের নিজেদের অপরাধ, হত্যাকান্ডে জড়িত এবং হত্যার বর্ণনা দিয়ে ১৬৪ ধারায় স্বিকারেক্ত প্রদান করে। আসামীরা আদালতে বলেন, রিয়াদ আহমেদ সজিবের সাথে ৫শত টাকা এবং তোফাজ্জলের সাথে এক হাজার টাকা পাওনা নিয়ে বিরোধ ছিল। মূলত মাদকের টাকা নিয়ে তাদের সাথে বিরোধ ছিল। আর ঐ বিরোধে গত ১৪ মার্চ রতনের অটোতে চড়ে কৌশলে তাকে ডেকে নিয়ে চৈতনখালী এলাকায় নিয়ে কিলঘুষি মেরে এবং রড দিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যা করে। আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট রওশন জাহান ও দেওয়ান মনিরুজ্জামান তাদের জবানবন্দি গ্রহণ করেছেন।

    এদিকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বলেন, চারজনকে গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে রহস্যজনক এই হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত অন্যান্যদের গ্রেফতারের চেষ্ঠা চলছে। তিনি আশা করেন রতন হত্যার সাথে জড়িত অন্যান্যদেরকে দ্রুত গ্রেফতার করা সম্ভব হয়।


    প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার, ১৯ মার্চ, ২০২০