বিয়ে গোপন করে আবার বিয়ে করায়, মিলাকে আদালতে তলব
কণ্ঠশিল্পী তাশবিহা বিনতে শহীদ ওরফে মিলা |
আগের বিয়ে গোপন করে কুমারি পরিচয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করার অভিযোগে করা মামলায় কণ্ঠশিল্পী তাশবিহা বিনতে শহীদ ওরফে মিলা ও তার বাবা শহিদুল ইসলামকে তলব করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার ( ৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মহানগর হকিম মোহাম্মাদ জসিম মেয়ে-বাবাকে ১১ মার্চ আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন।
মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মামুন আল কাইয়ুম বিষয়টি গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ২০১৯ সালের ৩ সেপ্টেম্বর একই আদালতে প্রথম বিয়ে গোপনের অভিযোগে মিলার বিরুদ্ধে মামলা করেন তার সাবেক স্বামী এসএম পারভেজ সানজারি। সেই মামলাটি তদন্তের পর পল্লবী থানার এসআই মো. জহিরুল ইসলাম অভিযোগপত্র জমা দেন। এতে মিলাকে অভিযুক্ত করা হয়। এতে আদালত মিলা ও তার বাবাকে তলব করেছেন।
মামলার বাদী পারভেজ সানজারি অভিযোগ করেন, ২০১৭ সালের ১২ মে মিলাকে বিয়ের পর তার বিভিন্ন বিরক্তিকর অভ্যাস ধরা পড়ে। এতে তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ শুরু হয়। যার কারণে তাদের দাম্পত্য কলহ শুরু হয়। সেই সুযোগে মিলা ২০১৭ সালের ৫ অক্টোবর যৌতুক আইনে সানাজারীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। জামিন পাওয়ার পর ২০১৮ সালের ৩১ জানুয়ারি মিলাকে তালাক প্রদান করেন। পরে বাদীকে হত্যার জন্য ২০১৯ সালের ২ জুন এসিড নিক্ষেপ করেন। ওই ঘটনায় একটি মামলা করেছেন পারভেজ।
এরপর বাদী জানতে পারেন, তার সাবেক স্ত্রী মিলা ২০০২ সালের ৩১ জুলাই লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) একেএম নুরুল হুদার ছেলে আবির আহম্মেদকে বিবাহ করেন। যা মিলা এবং তার বাবা শহিদুল ইসলাম গোপন করে মেয়েকে কুমারি পরিচয়ে বাদীর সঙ্গে বিবাহ সম্পন্ন করে প্রতারণা করেন। এ ছাড়া প্রথম বিয়েতে জন্ম তারিখ ১৯৮৪ সালের ২৬ মার্চ উল্লেখ করলেও বাদীর সঙ্গে বিয়েতে প্রতারণাপূর্বক ১৯৮৫ সালের ২৬ মার্চ উল্লেখ করেন।
প্রকাশিত: শুক্রবার, ০৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২০