• সর্বশেষ আপডেট

    বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শুরু




    টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে তাবলিগ জামাতের বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব গতকাল বৃহস্পতিবার বাদ মাগরিব আম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে। প্রথম দফায় তিনদিনের এ পর্বে চলছে শীর্ষ মুরব্বিদের ঈমান ও আমলের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা।

    প্রথম পর্বে মাওলানা জুবায়েরের অনুসারী মুসল্লিরা সারা দেশ থেকে এসেছেন। রোববার আখেরি মোনাজাত দিয়ে শেষ হবে এ পর্বের ইজতেমা। দিল্লির মাওলানা সা’দ কান্ধলভির অনুসারীরা অংশ নেবেন দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমায়, যা আগামী ১৭ জানুয়ারি শুরু হয়ে ১৯ জানুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে।

    জানা গেছে, ইজতেমার ময়দানকে মোট ৯২টি খিত্তায় ভাগ করে ৮৭টি খিত্তায় সাধারণ মুসল্লিদের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এসব খিত্তায় ৬৪ জেলার মুসল্লিদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাকি পাঁচটি খিত্তা সংরক্ষিত রাখা হয়েছে। কোনো জেলার মুসল্লি বেশি হলে অথবা মাদরাসা ছাত্রদের সংরক্ষিত খিত্তাগুলোতে দেয়া হবে।

    বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বে বিদেশি মেহমানদের জন্য বিশ্ব ইজতেমা ময়দানের উত্তর-পশ্চিম পাশে নিবাস তৈরি করা হয়েছে। সেখানে তাদের জন্য গরম পানি, রান্নার জন্য গ্যাস, উন্নত টয়লেটসহ নানা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

    বিশ্ব ইজতেমা সফলভাবে সম্পন্ন করতে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়েছে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন। গতকাল বৃহস্পতিবার ইজতেমা ময়দানের পাশে বিনামূল্যে চিকিৎসা ক্যাম্পগুলো উদ্বোধন করা হয়। মুসল্লিদের নিরাপত্তা দিতে ইজতেমা ময়দানে মোতায়েন রয়েছে বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য। পুরো ইজতেমা ময়দানের চারপাশে স্থাপন করা হয়েছে সিসি ক্যামেরা।

    এছাড়া ইজতেমায় যোগ দিতে টঙ্গীমুখী মুসল্লিদের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে যানবাহন পার্কিং ও ডাইভারশন সংক্রান্ত কিছু নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

    উল্লেখ্য, ১৯৬৩ সাল থেকে তাবলিগ জামাত বিশ্ব ইজতেমার আয়োজন করে আসছে। ইজতেমা মাঠের চাপ কমাতে এবং নিরাপত্তা ও উন্নত ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে ২০১১ সাল থেকে দুই ধাপে তিন দিন করে ইজতেমার আয়োজন করা হতো। গেলো বছর তাবলিগের আমির মাওলানা সা’দ কান্ধলভি ও মাওলানা জুবায়েরের অনুসারীদের মধ্যে বিরোধ দেখা দিলে দুই পক্ষের জন্য দুই পর্ব নির্ধারণ করা হয়।

    প্রকাশিত: শুক্রবার, ১০ জানুয়ারি, ২০২০