• সর্বশেষ আপডেট

    প্রচন্ড চাপে মোদী সরকার, হারের বৃত্তে বিজেপি




    নাগরিক সংশোধন আইন (সিএএ) ও জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) ঘিরে চাপে আছে বিজেপি। আসছে বিজেপির হারের সংবাদ। এর ধারাবাহিকতায় সম্পূর্ণানন্দ সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে গো-হারা হেরেছে বিজেপির আদর্শিক সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের (আরএসএস) ছাত্রসংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (এবিভিপি)। বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আসন উত্তর প্রদেশের বেনারসে অবস্থিত।

    অন্যদিকে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত জেলা পরিষদ ও পঞ্চায়েত সমিতি নির্বাচনে মহারাষ্ট্রে বড় ধরনের ধাক্কা খেয়েছে অমিত-মোদি জুটি। আরএসএসের জন্মভূমি নাগপুরে কংগ্রেসের কাছে বিজেপি খেয়েছে রামধোলাই।

    ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার ঘোষণা করা হয় সম্পূর্ণানন্দ সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের ফলাফল। এতে চার পদের চারটিতেই হেরেছে সংঘের ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (এবিভিপি)। এসব পদে পূর্ণাঙ্গ জয় পেয়েছে কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন ন্যাশনাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অব ইন্ডিয়া (এনএসইউআই)। অথচ গেল বছরের নির্বাচনে এই চার পদেই জয় পেয়েছিল এবিভিপি।

    বিজেপিবিরোধী এই ধাক্কা এসেছে মহারাষ্ট্রের জেলা পরিষদ ও পঞ্চায়েত সমিতি নির্বাচনেও। পাশাপাশি দেশের প্রবীণ নাগরিকদের পক্ষ থেকেও বিজেপির এসব কর্মকাণ্ডের নিন্দা আসছে। বৃহস্পতিবার দেশটির ১০০ জন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা সিএএ ও এনআরসি-বিরোধী খোলা চিঠি প্রকাশ করেছেন।

    এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, মহারাষ্ট্রের জেলা পরিষদ নির্বাচনে বিজেপিকে পেছনে ফেলে এগিয়ে গেছে শিবসেনা, কংগ্রেস ও শারদ পাওয়ারের ন্যাশনাল কংগ্রেস পার্টি (এনসিপি)। এর মধ্যে কংগ্রেস জেলা পরিষদে ৭৩ ও পঞ্চায়েত পরিষদে ১৪৫টি, এনসিপি জেলা পরিষদে ৪৬টি ও পঞ্চায়েত পরিষদে ৮০টি এবং শিবসেনা জেলা পরিষদে ৪৯টি ও পঞ্চায়েত পরিষদে ১১৭টি আসন লাভ করে।

    অন্যদিকে নিজ ঘর নাগপুরে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ রামধোলাই খেয়েছে কংগ্রেসের কাছে। নাগপুরে কংগ্রেস একাই ৫৮ আসনের মধ্যে ৩০, এনসিপি ১১ ও শিবসেনা ১ আসন লাভ করে। সব মিলিয়ে সেখানে এই তিন দলের জোট পায় ৪২ আসন। সেখানে বিজেপি ১৫ আসনে পিছিয়ে আছে। নাগপুরের পরাজয়ের এই গ্লানি লেগেছে চন্দ্রকান্ত বাওয়ানকুলে এবং নিতিন গডকরির মতো জ্যেষ্ঠ নেতা ও মন্ত্রীদের গ্রামেও।

    হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, এক খোলা চিঠিতে সিএএ, এনআরসি ও ন্যাশনাল পপুলেশন রেজিস্ট্রার (এনপিআর) বিরুদ্ধে বিবৃতি দিয়েছেন ভারতের অবসরপ্রাপ্ত ১০৬ জন সরকারি কর্মকর্তা। এসব ব্যক্তির মধ্য তিনজন সাবেক পররাষ্ট্রসচিব শ্যাম সরন, শিব শংকর ও সুজাতা সিং, যুক্তরাজ্যে ভারতের সাবেক রাষ্ট্রদূত শিব শংকর মুখার্জি, সাবেক টেলিকম রেগুলেটর রাহুল খুল্লার, পুলিশের সাবেক শীর্ষ কর্মকর্তা মিরান সি বোরওয়ানকার, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক পি কে লাহিড়ি ও সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব কে এম চন্দ্র শেখর রয়েছেন।

    তাঁরা ওই খোলা চিঠিতে বলেন, এনআরসি ও সিএএ একটি অপ্রয়োজনীয় ও অর্থের অপচয়ের চর্চা ছাড়া কিছু নয়। বরং এসব অর্থ কার্যকরভাবে ব্যয় করলে জনগণের বিশেষ করে দরিদ্র মানুষের উপকারে আসবে। 

    প্রকাশিত: শুক্রবার, ১০ জানুয়ারি, ২০২০