• সর্বশেষ আপডেট

    মুজিববর্ষে ই-পাসপোর্ট দিতে পেরে দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা-প্রধানমন্ত্রী


    ফাইল ছবি

    চালু হলো বহুল প্রতীক্ষিত ইলেক্ট্রনিক পাসপোর্ট বা ই-পাসপোর্ট। দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশেই প্রথম ই-পাসপোর্ট চালু হলো। এক্ষেত্রে বিশ্বে ১১৯তম দেশ বাংলাদেশ। এর ফলে বাংলাদেশি পাসপোর্টের গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে।

    মুজিববর্ষে ই-পাসপোর্ট দিতে পেরে তিনি দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা ও অভিনন্দন জানান। উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে যা করার সবই করবেন বলে অনুষ্ঠানে জানান প্রধানমন্ত্রী।

    বুধবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে  অধিকতর নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য সম্বলিত ই-পাসপোর্ট ও স্বয়ংক্রিয় বর্ডার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    সর্বপ্রথম ই-পাসপোর্ট পাবেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সবাই এই পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারবেন। প্রথমে আগারগাঁও, উত্তরা ও যাত্রাবাড়ী থেকে দেয়া হবে ই-পাসপোর্ট। পর্যায়ক্রমে সারা দেশে এই সেবা মিলবে।

    স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের আওতাধীন ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় জার্মান কোম্পানি ভেরিডোস জিএমবিএইচ কর্তৃক ই-পাসপোর্ট ও স্বয়ংক্রিয় বর্ডার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। ই-পাসপোর্টের মেয়াদ হবে পাঁচ থেকে ১০ বছর।

    ৪৮ পৃষ্ঠার পাঁচ বছর মেয়াদি সাধারণ ফি ৩৫০০ টাকা, জরুরি ফি ৫৫০০ টাকা ও অতীব জরুরি ফি ৭৫০০ টাকা এবং ১০ বছর মেয়াদি সাধারণ ফি ৫০০০ টাকা, জরুরি ফি ৭০০০ টাকা ও অতীব জরুরি ফি ৯০০০ টাকা।

    নতুন পাসপোর্টের ক্ষেত্রে অতীব জরুরিতে তিন দিনে, জরুরিতে সাত দিনে ও সাধারণ পাসপোর্ট আবেদনের ক্ষেত্রে ২১ দিনের পাসপোর্ট পাওয়া যাবে। তবে পুরনো অথবা মেয়দোত্তীর্ণ পাসপোর্ট রি-ইস্যু করার ক্ষেত্রে অতীব জরুরি পাসপোর্ট দুই দিনে, জরুরি পাসপোর্ট তিন দিনে ও সাধারণ পাসপোর্ট সাত দিনের মধ্যে দেওয়া হবে।


    প্রকাশিত: বুধবার, ২২ জানুয়ারি, ২০২০