• সর্বশেষ আপডেট

    বৃদ্ধাশ্রমে বাবার মৃত্যু খোজ নেয়নি সন্তান।

    মতিন মিয়া। বয়স ৭০ পেরিয়েছে। বার্ধক্য আর রোগের কারণে একা চলতে পারতেন না। এজন্য চেয়ে থাকতে হতো অন্যের সাহায্যের দিকে। খুলনা থেকে বৃদ্ধ মতিন মিয়াকে ঢাকায় আনেন বড় ছেলে। সন্তানের সঙ্গেই থাকতেন মিরপুরে। কিন্তু হঠাৎ জন্মদাতা বাবাকে বৃদ্ধাশ্রমে রেখে আসেন ছেলে। বৃদ্ধ বাবা'র সঙ্গে নিজের পরিচয় দেন দূর-সম্পর্কের মামা বলে। এরপর কোনোদিন বাবার খোঁজও নেয়নি। বেশ কয়েকবার ছেলে ও নাতি-নাতনিদের দেখতে চেয়েও দেখা পাননি। শেষবারের মতো প্রিয়জনদের দেখার ইচ্ছা পূরণ হয়নি, না ফেরার দেশে চলে গেলেন ।

    বৃদ্ধাশ্রম।ছবি- সংগৃহীত। digontonewsbd.com

    শুক্রবার ভোরে কল্যাণপুরে'র বৃদ্ধাশ্রমে মৃত্যু বরন করেন মতিন মিয়া।

    চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড কেয়ারের প্রতিষ্ঠাতা মিল্টন সামাদার এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ''বৃদ্ধ মতিন মিয়াকে রেখে যাওয়ার সময় তিনি ভীষণ অসুস্থ ছিলেন। চলাচলে অক্ষম ছিলেন। মিরপুরে ছেলে ও বউমার কাছে থাকতেন। মামা পরিচয় আড়াই বছর আগে তার ছেলে আমাদের এখানে রেখে গিয়েছিল।''

    মিল্টন জানান, যতদুর জানতে পেরেছি মতিন মিয়ার বাড়ি খুলনায় ছিল। মৃত্যুর কয়েক দিন আগে তিনি জানিয়েছিলেন- তাকে বৃদ্ধশ্রমে রেখে গেছেন বড় ছেলে।

    চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড কেয়ারের প্রতিষ্ঠাতা জানান, মতিন মিয়া সব সময় বলতেন- ছেলেকে খবর দেন, আমি আর বাঁচবো না, ওরা যেন সন্তান-স্ত্রী নিয়ে আমাকে একটু দেখতে আসে। আমরা বারবার যোগাযোগ করলেও তাহার ছেলে কাজের ব্যস্ততা দেখিয়ে আসেননি। বাবার মৃত্যুর বিষয় জানাতে বারবার যোগযোগ করেও ব্যর্থ হয়েছি।

    মিল্টন বলেন, গতকাল রাতে হঠাৎ মতিন মিয়ার শরীর খারাপ হতে থাকে। এরপর ভোরে তিনি মারা যান। সকাল নয়টার দিকে মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে মতিন মিয়াকে দাফন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।