• সদ্যপ্রাপ্ত সংবাদ

    মাদারীপুরে বিয়ের দাবিতে চারদিন ধরে প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান করছেন এক তরুণী।

     

    এ ঘটনায় নিজের কক্ষে তালা দিয়ে পালিয়েছেন প্রেমিক শহিদুল ইসলাম (৩৫)।ঘটনাটি ঘটেছে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার শিরুয়াইল ইউনিয়নের শোলাপুর গ্রামে। অভিযুক্ত শহিদুল ইসলাম একই গ্রামের আব্দুর রশিদ খানের ছেলে।বিজ্ঞাপনতরুণীর ভাষ্যমতে, ২০১৩ সালে ইজিবাইকে কলেজে যাওয়ার সময় শহিদুল ইসলামের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। শহিদুল তার কাছ থেকে ফোন নম্বর নেন। পরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে দুজন একাধিকবার ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে ঘোরাঘুরি করেন। এতে বিষয়টি দুজনের পরিবারের মধ্যে জানাজানি হয়।২০১৮ সালে ওই তরুণীকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে দেশের বাইরে চলে যান শহিদুল। সম্প্রতি তিনি দেশে ফিরে আসেন। দেশে এসেই ঢাকায় দুজন দেখা করেন। পরে তারা নিজ নিজ বাড়িতে চলে যান। প্রায় এক সপ্তাহ আগে শহিদুলের বিয়ে ঠিক হওয়ার খবর পান ওই তরুণী। এরপর থেকে প্রেমিক শহিদুল ইসলামের বাড়িতে অবস্থান নেন তরুণী।বিজ্ঞাপনওই তরুণী বলেন, “১০ বছর ধরে ওর সঙ্গে আমার প্রেম চলছে। ও আমাকে যা যা করতে বলেছে, আমি শুধু ভালোবাসার জন্য সবকিছু করেছি। ওর জন্য বছরের পর বছর অপেক্ষা করেছি। আর এখন সে বলে আমি ‘খাটো’, এজন্য বিয়ে করবে না। আমাকে বিয়ে না করলে আমি আইনগতভাবে সবখানে যাবো। আমার ভালোবাসা জয় করে ছাড়বো। ওকে বিয়ে করা ছাড়া আমি আর কিছুই চাই না।”তরুণীর মামা বলেন, ‘গরিব পরিবারের মেয়ে হওয়ায় কেউ ওকে মানতে চায় না। আমরা সামাজিকভাবে প্রথমে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, কিন্তু শহিদুলের পরিবার তাতে রাজি না। আমরা চাই দুজনের বিয়ে হোক, তারা শান্তিকে থাকুক।’বিজ্ঞাপনঅভিযুক্ত শহিদুলের বড় বোন বেদানা আক্তার বলেন, “মেয়েটি ‘খাটো’ হওয়ায় বিয়ে করতে চাচ্ছে না আমার ভাই। তারা দুজনে সংসার করবে, সেটা তাদেরই সিদ্ধান্ত। এ ব্যাপারে আমাদের কোনো মতামত নেই।”জাগোনিউজের খবর পেতে ফলো করুন আমাদের গুগল নিউজ চ্যানেল।মাদারীপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাসুদ আলম খান বলেন, ছেলের সঙ্গে ১০ বছরের প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে বলে দাবি করেছেন মেয়েটি। মেয়েটি যাতে ন্যায্য বিচার পান, এজন্য শিবচর থানা পুলিশকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
    প্রকাশিত বৃহস্পতিবার ১৯ অক্টোবর ২০২৩