• সদ্যপ্রাপ্ত সংবাদ

    ডিএপি ফার্টিলাইজার কোম্পানি ক্যাজুয়াল শ্রমিকদের নিয়োগ বাস্তবায়ন ও আউট সোসিং প্রক্রিয়া বেতন কাঠামো নিধারণ বন্ধ করার দাবীতে মানববন্ধন।

     


    ডিএপি ফার্টিলাইজার কোম্পানী লিমিটেড এর কর্মরত ক্যাজুয়াল শ্রমিক কর্মচারীদের দৈনিক ভিত্তিতে নিয়োগ বাস্তবায়ন প্রতিবেদন কার্যকরী করার জন্য ও আউট সোর্সিং প্রক্রিয়ার বেতন কাঠামো নির্ধারণ বন্ধ করার জন্য ক্যাজুয়াল শ্রমিকরা মানববন্ধন করেছেন। আজ মঙ্গলবার  সকাল ৮ টা থেকে ডিএপি ফার্টিলাইজার কোম্পানী লিমিটেড এর সামনে মেইন গেটে এই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেন ক্যাজুয়াল শ্রমিকরা।

    মানববন্ধনে অংশ নেওয়া শ্রমিকেরা জানান, বিগত ২০০৯ সালে  ৩৫ তম বোর্ড ও ২০১৬ সালে ১১৭ তম বোর্ড সভায় আমরা ক্যজুয়াল শ্রমিক/কর্মচারীদের নিয়োগ বাস্তবায়ন করার জন্য বলা হয়,ডিএপিএফসিএল কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন নিয়োগ বাণিজ্য করে অনাভিজ্ঞ অযোগ্য লোক নিয়োগ প্রদান করে আমাদের  উপর অন্যায় অবিচার করে আসছে দীর্ঘ দিন ধরে।বর্তমানে নতুন করে আউট সোর্সিং নামে বেতন কমানোর পায়তারা শুরু করে আমাদের পেটে লাথি মারার চিন্তা ভাবনা করছেন কর্তৃপক্ষ। এই আউট সোসিং প্রক্রিয়া বেতন কাঠামো নিধারণ বন্ধ করতে হবে।আউট সোসিং প্রক্রিয়া বেতন কাঠামো নিধারণ বন্ধ না করলে এই অবস্থান ধর্মঘট কর্মসূচি অবহিত থাকবে। আমরা কারখানা কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানাই।

    এম জাবেদ আহমদ বলেন, বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন বিসিআইসি উৎপাদনশীল প্রতিষ্ঠানের মধ্যে অর্থ মন্ত্রনালয়ের পরিপত্রে আওতাভূক্ত প্রতিষ্ঠান নয়। অর্থ মন্ত্রনালয়ের পরিপত্রে মেডিক্যাল, সিটি কর্পোরেশন, ওয়াসা, বিদ্যুৎ, গণপূর্ত, রেলওয়ে সেবাখাত থেকে এই সেবা প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ন আলাদা। বর্তমানে ডিএপি ফার্টিলাইজার কোম্পানী লিমিটেড কর্তৃপক্ষ আউট সোর্সিং নামে সেবা খাত প্রতিষ্ঠানের একটি নীতিমালা বাস্তবায়ন করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। আমরা এর দাবি জানায়।

    মো শাহাজালাল বলেন, ডিএপি ফার্টিলাইজার কোম্পানী লিমিটেড এ অত্র কারখানা কমিশন হওয়ার শুরু থেকে আমরা নিয়োজিত আছি। বর্তমানে নতুন করে আউট সোর্সিং নামে বেতন কমানোর পায়তারা শুরু করে আমাদের পেটে লাথি মারার চিন্তা ভাবনা করছেন কর্তৃপক্ষ। বর্তমান সরকারের ভাব মূর্তি নষ্ট করার জন্য এইসব পায়তারা করছেন তারা।এই আউট সোসিং প্রক্রিয়া বেতন কাঠামো নিধারণ বন্ধ করতে হবে। আউট সোসিং প্রক্রিয়া বেতন কাঠামো নিধারণ বন্ধ না করলে এই অবস্থান ধর্মঘট কর্মসূচি অবহিত থাকবে। আমরা কারখানা কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানাই।

    মো আরিফ হোসেন বলেন, আমরা মানবেতর জীবনযাপন করছি। পৃথিবীর কোথাও নেই যে ২৪ ঘণ্টা ডিউটি করতে হবে। তবুও আমরা ডিউটি করি। আমাদের দাবি মানতে হবে। না হলে এই অবস্থান ধর্মঘট কর্মসূচি অবহিত থাকবে। বর্তমানে নতুন করে আউট সোর্সিংয়ের নামে ১৪ বছর থেকে প্রাপ্তবেতন কমানোর পায়তায় আমাদের পেটে লাথি মারার চিন্তা ভাবনা করছেন তা প্রত্যাহারের দাবী জানায়।এ প্রক্রিয়া বন্ধ করা না হলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষনা করা হবে জানান  তিনি।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন, সিবিএ সভাপতি মো.ফরিদ, সাধারণ সম্পাদক মো.জাহের, মো. শাহ জালাল, আরিফ হোসেন,নাসির খান,মো. জাবের, মানিক কুমার সাহা, মো. শরীফ,মো. ইীলয়াছ, মো. ইলিয়াছ, শিপন, জানে আলমমো. ইসমাইল, মো. পারভেজসহ
    প্রকাশিত রবিবার ৩০ এপ্রিল ২০২৩