• সর্বশেষ আপডেট

    বরগুনায় অতিথি পাখিতে মুখর ফসলি মাঠ।

     


    মোঃ শাকিল আহমেদ, বরগুনা: বরগুনা পৌর শহরের হাসপাতাল পেছনে ও জেলা কারাগারের সামনের ফসলি মাঠে ঝাঁকেঝাঁকে উড়ে বেড়াচ্ছে শত শত অতিথি পাখি। 

    দেখে মনে হবে পাখিদের মেলা। নয়ন জুড়ানো সুন্দর পাখিগুলোর ইংরেজি নাম 'ওপেনবিল' এবং বৈজ্ঞানিক নাম অ্যানাস্টোমাস অসিটান, যার অর্থ 'ইয়ানিং মাউথ। খাবারের সন্ধানে হাজার হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে আসা এই অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখরিত হয়ে উঠেছে মাঠের চারদিক। মাঠের এ দৃশ্য যেন এখন নিত্যদিনের সৌন্দর্য্য।

    সবুজ শ্যামলে জীববৈচিত্রে ভরা এই ফসলি মাঠে শীতের আগমনে ফসলের জমিতে হঠাৎ করে নানা জাতের হাজার হাজার পাখির মেলা বসেছে। দলবেঁধে আসা এসব পাখির ডানার শব্দ আর কলতানে ভোরে ঘুমভাঙে স্থানীয়দের। ঝাঁকে ঝাঁকে আসা অতিথি পাখির মেলবন্ধন যেন এক অঘোষিত পাখির অভয়াশ্রম।

    স্থানীয়রা জানায়, পাখিগুলো শীত প্রধান দেশে টিকতে না পেরে প্রতি বছর শীতে অতিথি হিসেবে এখানে আশ্রয় নেয়। এরপর বসন্তে উড়াল দেয়। আমাদের এ মাঠে পুরো ধানের চাষাবাদ চলছে। এমন সময়ে খাবার সংগ্রহসহ নিরাপদ আবাসস্থলে পানকৌড়ি, চাপাখি, টুনটুনি, বেনেবউ, হাঁড়িচাচা, দোয়েল, শালিক, রাতচরা, কানাবক, সাদাবক, ধূসরবক, মাছরাঙ্গাসহ নাম না জানা অনেক পাখির আনা গোনা চলে নিত্যদিন।

    সরেজমিনে দেখা যায়, গণপূর্ত বিভাগের শতাধিক একরের সরকারি জলায়তন ফসলি জমিতে হাজার হাজার অতিথি পাখি জলকেলিতে মেতে উঠে। তাদের ছোটাছুটি আর লুটোপুটি চলে সন্ধ্যা পর্যন্ত। গোধুলির রঙ ডানায় মেখে পাখিগুলো যার যার মতো আশ্রয় নেয় আশপাশের গাছগাছালি, বাঁশঝাড় ও কচুরিপানায়।

    এখানকার সব শ্রেণির পেশাজীবীর মানুষ পাখির প্রতি একদম সদয়। এখানে কাউকে পাখি শিকার করতে দেওয়া হয় না। তাই পাখি শিকার করতে এখানে আর কেউ আসে না। এছাড়া এলাকাটি একটি সুস্থ বিনোদনের কেন্দ্রস্থল হতে পারে বলে জানান তারা।

     পাখিগুলো প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষার পাশাপাশি স্থানীয়দের বিনোদনের খোরাক জোগায়। এলাকার সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি করে। বিশেষ করে এ বিলে পাখিদের অন্যতম নিরাপদ আবাসস্থলে পরিণত হয়েছে।

    প্রকাশিত শুক্রবার ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৩