• সদ্যপ্রাপ্ত সংবাদ

    বরিশালে বিএনপি-ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ, আহত ২৫

     

    বরিশালের মুলাদীতে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের প্রায় ২৫ জন আহত হন। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় পৌর শহরের ফেয়ার ক্লিনিকের সামনে এই সংঘর্ষ হয়। বিএনপি নেতা-কর্মীরা জানিয়েছেন, উপজেলা ও পৌর বিএনপির নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটি বাতিলের দাবিতে তাঁরা মিছিল বের করেছিলেন। নিজেদের দলের অপর অংশের ইন্ধনে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা তাঁদের মিছিলে হামলা করেছেন। অন্যদিকে ছাত্রলীগের দাবি, মুলাদী সরকারি কলেজে নবীনদের স্বাগত জানিয়ে তারা মিছিল বের করেছিল। এ সময় বিএনপির মিছিলের মুখোমুখি হলে সংঘর্ষ বাধে। স্থানীরা জানান, কলেজ থেকে কমপক্ষে ৫০০ গজ দূরে উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আ. ছাত্তার খানের বাড়ির সামনে সংঘর্ষ হয়। এ সময় দুই পক্ষ ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য ছাত্তার খান বলেন, ‘দলের নবগঠিত কমিটি প্রত্যাখ্যান করে সহস্রাধিক নেতা-কর্মী মঙ্গলবার সকালে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি আমার বাড়ির অদূরে ফেয়ার ক্লিনিকের সামনে পৌঁছালে ছাত্রলীগের হামলার শিকার হয়। হামলাকারী ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা সেখানে ওত পেতে ছিলেন।’ তিনি আরও বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম মিঠুর ভাই মনিরুল ইসলাম টিপু ও উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জোবায়ের আহমেদ জুয়েল হামলার নেতৃত্ব দেন। হামলায় পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি আবদুর রব খান, বিএনপি নেতা আবিদুর রহমান শরীফ, মশিউর রহমান বেলাল, নূরে আলম পিন্টু, যুবদল নেতা রুহুল আমিন খান, ছাত্রদল নেতা বনী আমিন খান, কালাম খান, রাসেল হাওলাদার, শাহ আলমসহ কমপক্ষে ২০ জন নেতা-কর্মী আহত হন। পুনরায় হামলার ভয়ে আহতরা হাসপাতালে না গিয়ে আত্মগোপনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। ছাত্তার খান অভিযোগ করেন, স্থানীয় আওয়ামী লীগের সঙ্গে বিএনপির নবগঠিত নেতাদের আঁতাত রয়েছে। তাঁদের ইন্ধনেই ছাত্রলীগ বিএনপির পদবঞ্চিতদের মিছিলে হামলা চালায়। এ প্রসঙ্গে ছাত্রলীগ সভাপতি জোবায়ের আহমেদ বলেন, নবীনদের স্বাগত জানিয়ে কলেজ থেকে ছাত্রলীগের মিছিল বের হয়। মিছিলটি ফেয়ার ক্লিনিকের সামনে পৌঁছালে বিএনপির পদবঞ্চিতদের মিছিলের মুখোমুখি হয়। বিএনপির মিছিল থেকেই প্রথমে হামলা চালানো হয়। ছাত্রলীগের ধাওয়া খেয়ে বিএনপির লোকজন ছাত্তার খানের বাড়ির মধ্যে ঢুকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। এতে ছাত্রলীগ কর্মী ইমরান, রাজীব, রাকিব খান, আবিদ খানসহ পাঁচজন আহত হন। তাঁদের মুলাদী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মুলাদী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম মিঠু বলেন, নবীনবরণ উপলক্ষে ছাত্রলীগের মিছিলের সামনে বিএনপির মিছিল পড়ে যায়। সেই সময় দুই পক্ষের মধ্যে হালকা-পাতলা ধাক্কাধাক্কি হয়েছে। পরে মুরব্বিরা উভয় পক্ষকে সরিয়ে দিয়েছে।  এ বিষয়ে মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাকসুদুর রহমান বলেন, ছাত্রলীগ ও বিএনপির পদবঞ্চিতদের মিছিল মুখোমুখি হলে সংঘর্ষ হয়। পুলিশ যাওয়ার আগেই সিনিয়র আওয়ামী লীগ নেতারা পরিস্থিতি শান্ত করেন। থানায় কোনো পক্ষ অভিযোগ দেয়নি। 
    প্রকাশিত মঙ্গলবার ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩