• সর্বশেষ আপডেট

    পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে বিএনপি নেতা নিহত

     

    পঞ্চগড়ে পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় আব্দুর রশিদ আরেফিন (৫০) নামে এক বিএনপি নেতা নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় পুলিশসহ অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।

    শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকালে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এর আগে, তিনি ঘটনাস্থলে আহত হলে বিএনপি নেতাকর্মীরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। জেলা  বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মির্জা নাজমুল ইসলাম বিষয়টি  নিশ্চিত করেছেন।

    জানা গেছে, আবদুর রশিদ আরেফিন জেলার বোদা উপজেলা ময়দানদিঘী ইউনিয়নের হরিপুর এলাকার খোরশেদ মুহুরীর ছেলে। তিনি বোদা উপজেলার ময়দানদিঘী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক  ছিলেন। বর্তমানে ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক।

    শনিবার দুপুরে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে দুপুর সোয়া ২টার দিকে পঞ্চগড় শহরে অবস্থিত জেলা বিএনপির কার্যলয়ের সামনে থেকে মিছিল বের করেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। সেখানে পুলিশ বাধা দিলে পণ্ড হয়ে যায় মিছিল। এরপর একের পর এক চলে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া। প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে চলে এই সংঘর্ষ। পরিস্থিতি এখনো উত্তপ্ত রয়েছে। পুলিশকে উদ্দেশ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে বিএনপি নেতাকর্মীরা। আর পুলিশ টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ছোড়ে। এ সময় পঞ্চগড় জেলা শহর রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে।

    প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নিহত বিএনপি নেতা আবদুর রশিদ আরেফিন পুলিশের লাঠির আঘাতে আহত হয়েছেন। অনেক পথচারীও রাবার বুলেটে বিদ্ধ হন। বিকাল ৫টা পর্যন্ত শহরের প্রধান সড়কসমূহ বন্ধ থাকে। শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

    পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল কর্মকর্তা তৌফিক আহমেদ আহমেদ জানান, একজনের লাশ হাসপাতাল মর্গে রয়েছে। কীভাবে মারা গেছে তা ময়নাতদন্ত ছাড়া বলা যাবে না।

    পঞ্চগড় সদর থানার ওসি আব্দুল লতিফ মিয়া  দাবি করেন, ৭/৮ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এ ছাড়া আর কিছু বলতে রাজি হননি তিনি।


    প্রকাশিত শনিবার ২৪ ডিসেম্বর ২০২২