• সর্বশেষ আপডেট

    ঘন কুয়াশার চাদরে রাজধানী

     


    ঢাকা: সকাল থেকে কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে রাজধানী। ঘন কুয়াশায় কারণে কয়েক হাত দূরের জিনিস দেখাও দুরূহ হয়ে পড়েছে। যদিও আগে থেকেই শীতের প্রভাবে জবুথবু অবস্থা গ্রাম অঞ্চলের মানুষের। তবে দেরিতে হলেও ডিসেম্বর মাসের শেষভাগে কলকারখানা, ইটপাথর আর দূষণের নগরী ঢাকাতেও শীতের প্রকাশ ঘটল।

    রোববার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর সায়েন্স ল্যাবরেটরি, নিউমার্কেট, বনানী, এয়ারপোর্ট এবং উত্তরার হাউজবিল্ডিং ও দিয়াবাড়ি এলাকা ঘুরে এমন চিত্রই চোখে পড়ে।

    সরেজমিনে দেখা যায়, ভোরের পর থেকে কুয়াশার চাদরে আড়াল হতে থাকে প্রকৃতি। বাংলা পৌষ মাসের তৃতীয় দিনেই ঠান্ডা প্রকৃতি আর এমন কুয়াশা এসব এলাকার শহুরে জীবনে তৈরি করেছে অন্যরকম আমেজ।

    তবে থেমে নেই কর্মজীবী মানুষের চলাচল। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে অফিসগামী মানুষের ভিড় দেখা গেছে সড়কগুলোতে। সড়কে গাড়ির চাপও ছিল স্বাভাবিক। বেলা বাড়লেও কুয়াশার আধিক্য থাকায় ঢাকার বেশিরভাগ এলাকায় সূর্যের দেখা মেলেনি।

    এদিকে ঘন কুয়াশার কারণে উত্তরাঞ্চল ও দক্ষিণাগামী দুই মহাসড়কে ধীরগতিতে যান চলাচল করছে। এতে বঙ্গবন্ধু সেতুর উভয় পাশে ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট লেগে যায়। যানজটের কারণে দীর্ঘ সাড়ে তিন ঘণ্টা বঙ্গবন্ধু সেতুর টোল আদায় বন্ধ রাখা হয়। সূর্য উঠার সঙ্গে সঙ্গে কুয়াশার পরিমাণ কিছুটা কমে এলে সকাল ৮টা থেকে ফের টোল আদায় শুরু হয়।

    জানা গেছে, আজ ভোর রাত সাড়ে ৪টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু সেতুতে টোল আদায় বন্ধ রাখা হয়। এতে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থেকে কালিহাতীর এলেঙ্গা পর্যন্ত যানজট সৃষ্টি হয়।

    বঙ্গবন্ধু সেতুর ট্রাফিক কন্ট্রোল রুম সূত্রে জানা গেছে, রোববার ভোর রাত থেকে কুয়াশার পরিমাণ বেড়ে যায়। যা দৃষ্টিসীমার ৪০ মিটারের কম হওয়ায় সেতুতে দুর্ঘটনা এড়াতে উভয় পাড়ে টোল আদায় বন্ধ রাখে কর্তৃপক্ষ।

    এদিকে শিবচর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি জানান, ভোর থেকে ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়ে পথ-প্রান্তর। বেলা বাড়লেও কুয়াশা ভেদ করে দেখা যায়নি সূর্যের মুখ! কুয়াশার মাত্রা বেশি থাকায় জেলার সড়ক-মহাসড়কে যানবাহনের উপস্থিতি কম ছিল। এক্সপ্রেসওয়েতে ভোর থেকেই যানবাহন চলাচলে ধীরগতি দেখা গেছে।


    শিবচর হাইওয়ে থানা সূত্রে জানা গেছে, ভোর থেকে প্রচুর পরিমাণে কুয়াশা থাকায় মহাসড়কে সামান্য দূরত্বেও দিকনির্ণয় করা কষ্টসাধ্য ছিল।

    সকাল থেকে যানবাহন চলাচল ছিল সীমিত। দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাস দীর্ঘ সময় পর পর যেতে দেখা যাচ্ছে। সকল যানবাহন স্বাভাবিকের চেয়ে ধীরগতিতে চলছে। বেলা ১০ টার পর থেকে কুয়াশা কেটে গেলে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।

    পদ্মাসেতুর দক্ষিণ থানা সূত্রে জানা গেছে, নদী অববাহিকায় কুয়াশার মাত্রা আরও বেশি রয়েছে। সকালে কুয়াশার কারণে সেতুতে যানবাহন চলাচলে সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে।
    প্রকাশিত রবিবার ১৮ ডিসেম্বর ২০২২