বিএনপির মিছিল শেষ, কোনো ঝামেলা না করে বাড়ি ফেরার নির্দেশ
দিগন্ত ডেস্ক:-নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারসহ ১০ দফা দাবিতে বিএনপির মিছিল শেষ করার ঘোষণা দিয়ে নেতা-কর্মীদেরকে কোনো ঝামেলা না করে বাড়ি ফেরার নির্দেশ দিয়েছেন নেতারা।
শুক্রবার বেলা সাড়ে তিনটায় নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয় থেকে শুরু হওয়া মিছিল মগবাজার মোড়ে যাওয়ার পর তা শেষের ঘোষণা দেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান।
যদিও আগের দিন কর্মসূচির সমন্বয়ক এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানান, কাকরাইল, শান্তিনগর, মালিবাগ হয়ে মগবাজার চৌরাস্তা ঘুরে ফের নয়াপল্টনে এসে শেষ হবে মিছিল।
তবে বিলেল ৪টা ১০ মিনিটে মিছিলটি মগবাজারে এসে মিছিল পৌঁছলে আমান উল্লাহ আমান মাইকে কর্মসূচি সমাপ্তির ঘোষণা করেন আমান। তিনি বলেন, ‘আমাদের গণমিছিল আজকে শেষ। আমি মিছিলের সমাপ্তি ঘোষণা করছি। আপনার সবাই শান্তিপূর্ণ ভাবে বাড়ি ফিরে যাবেন। কোনো ধরনের ঝামেলা করবেন না।
বিএনপির নেতা সবাইকে চলে যেতে বলার পাশাপাশি জায়গা ছেড়ে দিতেও বলেন। বলেন, ‘মিছিলের পেছনে যারা আছেন তারাও মগবাজার এসে মিছিল শেষ করবেন।
১০ ডিসেম্বর বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারসহ ১০ দফা দাবি আদায়ে প্রথমে ২৪ ডিসেম্বর সারা দেশে মিছিলের ডাক দেয়া হয়। ঢাকা ছাড়া অন্য শহরে সে কর্মসূচি পালনও হয়েছে। তবে ঢাকায় সেদিন আওয়ামী লীগের ২২ তম জাতীয় সম্মেলন হবে- সেই ঘোষণা আসে গত ২৮ অক্টোবর।
বিএনপি পায়ে পা দিয়ে ঝগড়া করতে চাইছে- ক্ষমতাসীন দলের পক্ষ থেকে এমন বক্তব্য আসার পর বিএনপি কর্মসূচি পিছিয়ে ৩০ ডিসেম্বর করে।
সকাল সাড়ে ১০টা থেকেই নেতা-কর্মীরা ছোট ছোট মিছিল নিয়ে আসতে থাকে নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে। হাজার হাজার নেতা-কর্মী জড়ো হওয়ার পর সেখানে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। দুপুরে জুমার নামাজ পড়েন তারা সড়কেই।
এই মিছিল শুরুর আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন ঘোষণা করেন পরবর্তী কর্মসূচি। জানান, ১০ দফা দাবি আদায়ে আগামী ১১ জানুয়ারি সারা দেশে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন তারা।
এই মিছিল শুরুর আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন ঘোষণা করেন পরবর্তী কর্মসূচি। জানান, ১০ দফা দাবি আদায়ে আগামী ১১ জানুয়ারি সারা দেশে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন তারা।
সেই সমাবেশে তিনি বলেন, ‘আমি বেগম খালেদা জিয়াসহ সকল রাজবন্দিদের মুক্তি দাবি করছি। আমরা আশা করছি এই দেশের জনগণ গণঅভ্যুত্থান সৃষ্টি করে এই সরকারকে বিদায় জানাবে।’
সেখানে বক্তব্য রাখেন আমানও। তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন এই দেশে হবে না, করতে দেয়া হবে না। এই ব্যাপারে কোনো ছাড় দেয়া হবে না।
এর আগে ও পরে মিছিল থেকে একই কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে যাওয়ার ঘোষণা দেয়া গণতন্ত্র মঞ্চ ১২ দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট।
এদিন বিএনপির সাবেক জোটের শরিক দলগুলোকে ঢাকায় দেখা গেলেও জামায়াতে ইসলামীর মিছিল দেখা যায়নি। দলটি বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ থেকে মিছিল বের করার ঘোষণা দিয়েছিল। তবে সারা দেখানে যায়নি।
শান্তিনগর এলাকায় একটি মসজিদ থেকে জুমার নামাজের পর জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে বের হওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশের সঙ্গে তাদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়।