• সদ্যপ্রাপ্ত সংবাদ

    শিশু আয়াত হত্যা: আবিরের বাবা-মা-বোন রিমান্ডে

     

    চট্টগ্রামে চাঞ্চল্যকর শিশু আলিনা ইসলাম আয়াত (৫) হত্যায় অভিযুক্ত আবির আলীর মা-বাবা ও বোনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। 

    মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) চট্টগ্রামের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আবদুল হালিমের আদালত শুনানি শেষে তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর মধ্যে আবিরের বাবা আজমল আলী ও মা আলো বেগমের তিন দিন করে এবং বোন আঁখি আকতারের দুদিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। 

    এর আগে মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) ভোরে তাদের গ্রেফতার করা হয়। দুপুরে আদালতে সোপর্দ করে তাদের সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে পিবিআই।

    মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও পিবিআইয়ের পরিদর্শক মনোজ কুমার দে বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আবিরের বাবা-মায়ের তিন দিন করে এবং বোন আঁখি আকতারের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

    তিনি আরও বলেন, ‘সোমবার থেকে দ্বিতীয় দফায় আবিরকে সাত দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বাবা-মা ও বোনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’

    তবে আয়াত হত্যায় এই তিন জনের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে কিনা সে বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।




    মনোজ কুমার দে বলেন, ‘দুই দিনের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সোমবার আসামিকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। রিমান্ডে আবির গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। এ কারণে আরও সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। রিমান্ডে দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তার বাবা-মা ও বোনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’

    গত বৃহস্পতিবার রাতে আয়াতকে খুনের অভিযোগে আবির আলীকে নিজ বাসা থেকে গ্রেফতার করে পিবিআই। শুক্রবার রাতে আয়াতের বাবা সোহেল রানা বাদী হয়ে ইপিজেড থানায় অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ওই মামলায় আবিরকে গ্রেফতার দেখানো হয়। আবির রংপুরের তারাগঞ্জ এলাকার আজমল আলীর ছেলে। আয়াত ইপিজেড থানার বন্দরটিলা নয়াহাট এলাকার শাহেদা ইসলাম তামান্না ও সোহেল রানা দম্পতির একমাত্র মেয়ে।

    এই হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে এর আগে পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো অঞ্চলের পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানা বলেছেন, ‘মুক্তিপণ আদায়ের জন্য আয়াতকে অপহরণ করে তাদের সাবেক ভাড়াটিয়া আবির আলী। গত ১৫ নভেম্বর নগরের ইপিজেড থানাধীন বন্দরটিলা নয়াহাট বিদ্যুৎ অফিস এলাকার মসজিদের পাশ থেকে আরবি পড়তে যাওয়ার সময় আয়াতকে অপহরণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। পরে লাশ আকমল আলী সড়কের নিজ বাসায় নিয়ে ছয় টুকরো করে আবির। লাশের টুকরো দুটি বস্তায় করে পতেঙ্গা বেড়িবাঁধ এলাকায় বঙ্গোপসাগরে ফেলে দেয় সে।’

    তিনি আরও বলেন, ‘ঘটনার দিন আয়াতকে না পেয়ে তার বাবা ইপিজেড থানায় নিখোঁজের জিডি করেন। জিডির ছায়া তদন্ত করে পিবিআই। এ ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে আবিরকে বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর সে পিবিআইকে এসব তথ্য দিয়েছে।
    প্রকাশিত মঙ্গলবার ২৯ নভেম্বর ২০২২