• সর্বশেষ আপডেট

    সাগরে লগু চাপ,বিষখালী নদীর পানিবিপদ সীমার উপরে

     

    মো. শাকিল আহমেদঃ বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এতে গভীর সঞ্চালনশীল মেঘ (বজ্র মেঘ) সৃষ্টি হওয়ায় উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় রয়েছে।একই সঙ্গে পূর্ণিমার প্রভাব থাকায় বিষখালী নদীতে পানি বেড়েছে। আর এর প্রভাব পড়েছে পায়রা নদী ও বলেশ্বর নদে।

    এতে বিষখালী নদীর পানি পাথরঘাটা ও খাকদোন নদীর পয়েন্টে ক্রমাগত পানি বেড়ে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে শুরু করেছে।রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বরগুনা কার্যালয় সূত্রে এ তথ্য জানানো হয়।

     রোববার খাকদোন নদীর পানি বিপৎসীমার ৪০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গতকাল শনিবার যা ছিল ২৫ সেন্টিমিটার। পাথরঘাটা অংশে ৮৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়েছে।এদিন সকালে বরগুনার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, জোয়ারের পানি বেড়ে যাওয়ায় জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে তলিয়ে গেছে বসতবাড়ি।পৌর শহর ছাড়াও তলিয়ে গেছে আমতলী-পুরাকাটা ও বড়ইতলা-বাইনচটকি ফেরির গ্যাংওয়ে। 

    এতে গাড়ি নিয়ে পার হতে গিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়ছে সাধারণ মানুষ। জোয়ারের পানিতে ফেরির গ্যাংওয়ে তলিয়ে গেছে। বেড়ি বাঁধের বাইরের ও চরের স্থায়ী বাসিন্দাদের বাড়িঘর ফসলি জমি, পানের বরজ, মাছের ঘের পানিতে তলিয়ে গেছে।  
    বৃষ্টি, পূর্ণিমা ও বৈরী আবহাওয়ার কারণে পানি বাড়ায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বিষখালী নদীর পানির উচ্চতা গত কয়েক দিন ধরে বেশি রয়েছে।
    অন্যদিকে, আবহাওয়ার সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, পূর্ণিমা ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ১-২ ফুট বেশি উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।  

    এ অবস্থায় উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তীকালে নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেসঙ্গে তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।  

    প্রকাশিত রবিবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২২