• সর্বশেষ আপডেট

    দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম নাইট সাফারি পার্ক হচ্ছে সীতাকুণ্ডে

     

    চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার জঙ্গল সলিমপুরে দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম নাইট সাফারি পার্ক তৈরি করা হচ্ছে। প্রায় ৫৭ দশমিক ৫০ একর জমিতে এই পার্কের কাজ চলছে। সিঙ্গাপুরের জুরং ন্যাশনাল পার্ক-এর আদলে পার্কটি তৈরি হচ্ছে। 

    পার্ক নির্মাণে প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছে ২০ কোটি টাকা। এর মধ্যে তিন কোটি টাকা দেবে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। আগামী এক মাসের মধ্যে পার্কে বাঘসহ অন্যান্য প্রাণী ছাড়া হবে। সাফারি পার্কটি চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা ইউনিট-২ হিসেবে পরিচালিত হবে।

    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহাদাত হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘জঙ্গল সলিমপুরে দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম নাইট সাফারি পার্ক হচ্ছে। অবৈধভাবে দখলে থাকা ৫৭ দশমিক ৫০ শতাংশ জমি উদ্ধার করে এইপার্ক নির্মাণ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে জমির চারদিকে সীমানা বেষ্টনী নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে।’ 


    উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আশরাফুল আলম বলেন, ‘নাইট সাফারি পার্কের সীমানা বেষ্টনী নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। আগামী এক মাসের মধ্যেই এখানে বাঘ, চিত্রা হরিণ, অজগর সাপ, কুমিরসহ নানা রকম পশু অবমুক্ত করা হবে। এটিকে দৃষ্টি নন্দন সাফারি পার্ক হিসেবে গড়ে তোলা হবে।’

    নাইট সাফারি পার্ক নির্মাণে প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছে ২০ কোটি টাকা
    চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার ভারপ্রাপ্ত কিউরেটর ও চিকিৎসক শাহাদাত হোসেন শুভ বলেন, ‘সীতাকুণ্ডের জঙ্গল সলিমপুরে নাইট সাফারি পার্কের কাজ শুরু হয়েছে। সেখানকার জন্য কিছু পশু চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা থেকে নেওয়া হবে। বাকিগুলো বাইর থেকে আনা হবে। এটিকে দৃষ্টি নন্দন করে গড়ে তোলা হবে, যা দর্শনার্থীদের মুগ্ধ করবে।’

    চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বলেন, ‘জঙ্গল সলিমপুরের ৫৭.৫০ একর জমিতে নাইট সাফারি পার্ক প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। এটি হবে সিঙ্গাপুরের জুরং ন্যাশনাল পার্ক-এর আদলে। সাফারি পার্কটি চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা ইউনিট-২ হিসেবে পরিচালিত হবে।’

    তিনি আরও বলেন, ‘পার্কে বন্যপ্রাণী উন্মুক্ত অবস্থায় বিচরণ করবে। দর্শনার্থীরা গাড়িতে করে এসব প্রাণী দেখবেন। এছাড়া ইকো ট্যুরিজমের উন্নয়ন, পর্যটন শিল্পের বিকাশ ও চিত্ত বিনোদনের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে নাইট সাফারি পার্ক প্রতিষ্টা করা হচ্ছে।
    প্রকাশিত মঙ্গলবার ১৬ আগস্ট ২০২২