• সর্বশেষ আপডেট

    ‘বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের’ জেরে লাশ ভাসিয়ে দেওয়া হলো নদীতে

    ঘটনার ছয় মাস পর শ্বশুর ও পুত্রবধূর স্বীকারোক্তিতে বেরিয়ে এসেছে পল্লী চিকিৎসক মিলন দপ্তরী (৩০) হত্যার রহস্য। বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের জেরে মিলনকে পিটিয়ে হত্যার পর লাশ মেঘনা নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে।

    ত্রবধূ রাহেলা বেগম। মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) বিকালে জবানবন্দি দেওয়ার জন্য তাদের বরিশাল জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।

    গত ৩০ জানুয়ারি হিজলা উপজেলার মেমানিয়া ইউনিয়নের পূর্ব খাগেরচর গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। রশিদ ঘরামী ওই গ্রামের মৃত আব্দুর রব ঘরামীর ছেলে ও রাহেলা বেগম রশিদের প্রবাসী ছেলে মনির হোসেনের স্ত্রী।


    নিহত মিলন দপ্তরী উপজেলার হরিনাথপুর ইউনিয়নের ছয়গাঁও গ্রামের আবদুল খালেক দপ্তরীর ছেলে। গত ৩০ জানুয়ারি রাতে নিখোঁজ হন মিলন। ১ ফেব্রুয়ারি মিলনের ভাই সবুজ দপ্তরী হিজলা থানায় জিডি করেন।

    নিহত পল্লী চিকিৎসক মিলন দপ্তরী
    স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে হিজলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইউনুস মিয়া বলেন, ‘পল্লী চিকিৎসক মিলনের সঙ্গে রাহেলার বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিষয়টি শ্বশুর রশিদ জানতে পারেন। তখন তিনি রাহেলাকে বকাঝকা করেন। মিলন বিষয়টি জেনে যেকোনোভাবে ফাঁসাতে পারেন এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলেন রাহেলা। পরে শ্বশুরের পরামর্শে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। গত ৩০ জানুয়ারি রাতে মিলনকে বাড়িতে আসতে বলেন রাহেলা। বাড়িতে আসার পর মিলনের চোখে মরিচের গুঁড়া নিক্ষেপ করেন রশিদ। সেইসঙ্গে কাঠ দিয়ে মিলনকে আঘাত করলে ঘরের মেঝেতে লুটিয়ে পড়েন। মিলনের মৃত্যু হলে রাহেলা ও রশিদ লাশের দুই পা বেঁধে ঘর সংলগ্ন খালে ফেলে দেন। এরপর খাল দিয়ে টেনে নিয়ে মেঘনা নদীতে লাশ ভাসিয়ে দেন তারা।’

    ওসি আরও বলেন, ‘জিডি তদন্ত করে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় মিলনের সর্বশেষ অবস্থান নিশ্চিত হয়ে সোমবার রাতে রশিদ ও রাহেলাকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে মিলনকে হত্যার পর লাশ নদীতে ভাসিয়ে দেওয়ার কথা স্বীকার করে ১৬১ ধারায় স্বীকারোক্তি দেন তারা। জবানবন্দি দেওয়ার জন্য বিকালে তাদের আদালতে তোলা হয়েছে।’

    ওসি ইউনুস মিয়া বলেন, ‘নিখোঁজের ঘটনায় মিলনের ভাইয়ের করা জিডি হত্যা মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হবে। তবে লাশের সন্ধান পাওয়া যায়নি। ওই সময়ে যেসব অজ্ঞাত লাশ পাওয়া গেছে সেগুলোর সন্ধান চলছে।’
    প্রকাশিত: ২৫ জুলাই ২০২২