• সর্বশেষ আপডেট

    আ.লীগ নেতাকে বিবস্ত্র করে মারধর, যুবলীগের সভাপতিসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা


     মিরসরাই উপজেলা যুবলীগের সাবেক সহসভাপতি ও ওয়াহেদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য নাছির উদ্দিনকে বিবস্ত্র করে মারধরের ঘটনায় উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মাইনুর ইসলাম রানাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

    ঘটনার ১০ দিন পর বুধবার (২৭ জুলাই) রাতে মিরসরাই থানায় মামলাটি দায়ের করেন নাছির উদ্দিন।

    মামলায় আসামি করা হয়েছে, ইমাম হোসেন শেখ, শাখাওয়াত হোসেন, সাঈদ হোসেন, সাইফুল ইসলাম, মিনহাজ উদ্দিন, আবদুর রউফ, এমজাদ হোসেন আয়েচ, রাকিবুল ইসলাম, মেহেদী হাসান ও নুরের ছাপাসহ অজ্ঞাত ৪-৫ জনকে।
    মামলার এজাহারে অভিযোগ আনা হয়, যুবলীগ সভাপতি রানা দীর্ঘদিন ধরে নাছির উদ্দিনকে তাদের ওয়ারিশি সম্পত্তি ক্রয়ের প্রস্তাব দিয়ে আসছে। নাছির তার সম্পত্তি বিক্রি করতে রাজি না হওয়ায় গত ১৭ জুলাই দুপুরে নাছির উদ্দিন হাদি ফকিরহাট কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ থেকে জোহরের নামাজ পড়ে বের হওয়ার সময় মাইনুর ইসলামের রানার নেতৃত্বে ১০-১২ জন উচ্ছ্বৃঙ্খল যুবক পথরোধ করে এবং অতর্কিত মারধর শুরু করে। একপর্যায়ে তার হাত বেঁধে টেনে হেঁচড়ে হাদি ফকিরহাট বাজারের দক্ষিণ পাশে পরিত্যক্ত একটি স’ মিলে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে একটি খুঁটির সঙ্গে রশি দিয়ে বেঁধে বিবস্ত্র করে ফেলে। তারপর আসামিরা তাকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে মারাত্মক আহত করে। এ সময় তার আর্তচিৎকারে স্থানীয় লোকজন এসে তাকে বিবস্ত্র অবস্থায় উদ্ধার করে, পার্শ্ববর্তী এক বাসা থেকে একটি লুঙ্গি এনে পরায়। পরে তাকে প্রথমে সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।  

    ভুক্তভোগীর স্বজন ও আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতৃবৃন্দের অভিযোগ, ঘটনার পর থানায় মামলা করতে গেলে রানার রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে পুলিশ মামলা নেয়নি। বাজারে থাকা সিসিটিভি ফুটেজগুলো রানার অনুসারীরা সরিয়ে নিয়েছে। রানার বিরুদ্ধে এর আগেও বিভিন্ন সময়ে এলাকার বিভিন্ন বিষয়ে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করার অভিযোগ রয়েছে বলে জানান স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। তবে রানা প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ মুখ খুলতে ভয় পান বলে জানান তারা।

    মামলার বিষয়টি  নিশ্চিত করেন মিরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন। তিনি জানান, মামলার তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।  

    প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার ২৮ জুলাই ২০২২