• সর্বশেষ আপডেট

    রোয়াইঙ্গা’ ভাষার স্বীকৃতি চান আশ্রিত রোহিঙ্গারা

     


    নিজেদের মাতৃভাষা ‘রোয়াইঙ্গা’র স্বীকৃতির  দাবিতে কক্সবাজারের টেকনাফে লেদা শিবিরে মানববন্ধন করেছেন রোহিঙ্গা শরণার্থীরা। এ সময় তারা অধিকার নিশ্চিত করে নিজেরদের দেশ মিয়ানমারে ফেরত যেতেও সহযোগিতা চেয়েছেন।সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের লেদা ২৪ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি ব্লকে তাওহিদিয়া কাশেমুল উলুম মাদ্রাসায় ওই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে শতাধিক শিক্ষার্থী ও বেশ কিছু শিক্ষক অংশগ্রহণ করেন।সেখানে বক্তব্য রাখেন ওই মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক আবু তাহের, সুলতান মাহমুদ, সৈয়দ নুর, রোহিঙ্গা ভাষাচর্চা নিয়ে কাজ করা মোহাম্মদ খালেদ ও শিক্ষক সৈয়দুল ইসলাম।এ সময় তারা বলেন, প্রত্যেক জাতিগোষ্ঠীর নিজস্ব মাতৃভাষা রয়েছে। সেই মাতৃভাষায় পড়াশোনা করে তারা বিশ্ববুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। আমাদেরও এখন নিজস্ব বর্ণমালা তৈরি হয়েছে। এই বর্ণমালায় রোহিঙ্গারা পড়াশোনা করতে চায়।ওই মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক আবু তাহের জানান, মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নির্যাতনের মুখে বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে। কিন্তু এটি তাদের জন্য চিরস্থায়ী নয়। তারা মিয়ানমারের আরাকানের অর্থাৎ রাখাইন রাজ্যের বাসিন্দা। মাতৃভাষায় পড়াশোনা করে নিজেদের অধিকার নিশ্চিত করে স্বদেশে ফেরত যেতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন রোহিঙ্গারা।তিনি বলেন, ‘মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়ার সাড়ে চার বছরে এবারই প্রথম এই কর্মসূচির আয়োজন করলেন রোহিঙ্গারা। এদিকে মানববন্ধনে অংশ নেওয়া আরও কয়েকজন শিক্ষক বলেন, রোহিঙ্গা ন্যাশনাল এডুকেশন বোর্ডের ব্যানারে এই আয়োজিত মানববন্ধনে রোহিঙ্গারা দাবি করেন, বর্তমানে ক্যাম্পের প্রায় ১০০টি শিক্ষাকেন্দ্রে নিজস্ব বর্ণমালায় পড়াশোনা করছে প্রায় ২৫ হাজার রোহিঙ্গা শিক্ষার্থী। সব রোহিঙ্গারা যেন মাতৃভাষায় পড়াশোনা করতে পারে সেজন্য তারা সহযোগিতা চেয়েছেন।টেকনাফের লেদা ক্যাম্পে ডেভেলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলম বলেন, ‘রোয়াইঙ্গা ভাষার স্বীকৃতির দাবিতে একটি মাদ্রাসায় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করেছে বলে শুনেছি। তবে সে বিষয়ে বিস্তারিত জানা নেই আমার।

    প্রকাশিত: সোমবার ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২২