• সর্বশেষ আপডেট

    নাসির ও তামিমার বিচার শুরু, তামিমার মাকে অব্যাহতি

     


    তালাক না দিয়েই বিয়ে করার অভিযোগে করা মামলায় ক্রিকেটার নাসির হোসেন ও তাঁর স্ত্রী তামিমা সুলতানা তাম্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেন অভিযোগ গঠনের এই আদেশ দেন।একই আদেশে তামিমার মা সুমি আক্তারকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ গঠন বিষয়ে আদেশের জন্য দিন ধার্য ছিল। সকালে নাসির হোসেনসহ তিনজন আদালতে হাজির হন। দুপুর ১২টায় আদালত আদেশ দেন। এর আগে তিন আসামির পক্ষে এই মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন করা হয়। ধার্য তারিখে শুনানি শেষে আদালত এই আদেশের জন্য দিন ধার্য করেন। আদালত নাসির ও তামিমার অব্যাহতির আবেদন নামঞ্জুর করেন এবং সুমি আক্তারের আবেদন মঞ্জুর করেন। আদালতের এই আদেশের ফলে নাসির ও তামিমার বিরুদ্ধে বিচারকাজ শুরু হলো।স্ত্রীর আশা পূরণে বাংলাদেশ দলে ফিরতে চান নাসিরআসামিপক্ষের আবেদনে বলা হয়েছে, নাসির ও তামিমার বিয়ে আইন অনুসরণ করে ইসলামি শরিয়ত মতে হয়েছে। তাদের হয়রানি করার জন্য এই মামলা দায়ের করা হয়েছে, যা চলতে পারে না। বাদীপক্ষে বলা হয়, বাদীর সঙ্গে তামিমার বিয়ে বলবৎ থাকা অবস্থায় নাসির হোসেন তামিমাকে বিয়ে করেছেন, যা সম্পূর্ণ বেআইনি।এর আগে গত বছরের ৩১ অক্টোবর তিনজনই মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জসিমের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পান।গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর নাসির হোসেনসহ তিনজনের বিরুদ্ধে বাদীর অভিযোগ প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে বলে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে পিবিআই।বাবা হচ্ছেন ক্রিকেটার নাসির, জানালেন তামিমাতদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, মো. রাকিব হাসানের স্ত্রী তামিমা স্বামীকে তালাক দেননি। আইনগতভাবে রাকিব তালাকের কোনো নোটিশও পাননি। তামিমা উল্টো জালিয়াতি করে তালাকের নোটিশ তৈরি করে তা বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন। যথাযথ প্রক্রিয়ায় তালাক না দেওয়ায় তামিমা তাম্মী এখনো রাকিবের স্ত্রী হিসেবে বহাল রয়েছেন। দেশের ধর্মীয় বিধিবিধান ও আইন অনুযায়ী এক স্বামীকে তালাক না দিয়ে অন্য কাউকে বিয়ে করা অবৈধ ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এমন পরিস্থিতিতে ক্রিকেটার নাসির হোসেন ও তামিমা তাম্মীর বিয়ে অবৈধ বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, রাকিব হাসানের সঙ্গে তামিমার বিয়ে বলবৎ থাকা অবস্থায় ক্রিকেটার নাসিরকে বিয়ে করেছেন। তামিমা যে তালাকনামা বিভিন্ন জায়গায় দাখিল করেছেন তার আইনগত কোনো ভিত্তি নেই। আইনত তালাক প্রদান করার পর স্বামীকে তালাকের নোটিশ দিতে হয়। রাকিব হাসান এ ধরনের কোনো নোটিশ পাননি। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে নোটিশ দিতে হয়। কিন্তু এ ধরনের কোনো নোটিশ সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানও পাননি। তামিমার মা সুমি আক্তার এই অবৈধ বিয়েতে সহযোগিতা করেছেন বলেও তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। তামিমা সংসার করতে চাইলে আপত্তি নেই রাকিবের   এর আগে গত ৩১ আগস্ট আদালত মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৩০ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছিলেন। তার আগে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি তামিমার প্রথম স্বামী মো. রাকিব হাসান বাদী হয়ে এ মামলা করেন। ওই দিনই আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন। রাকিব মামলার অভিযোগে বলেন, ২০১১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি তামিমা ও রাকিবের বিয়ে হয়। তাদের আট বছরের একটি মেয়েও রয়েছে। তামিমা পেশায় একজন কেবিন ক্রু। চলতি বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি তামিমা ও ক্রিকেটার নাসির হোসেনের বিয়ের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা রাকিবের নজরে আসে। পরে পত্রপত্রিকায় তিনি ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারেন। মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়, রাকিবের সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্ক থাকা অবস্থায় তামিমা নাসিরকে বিয়ে করেছেন, যা ধর্মীয় ও রাষ্ট্রীয় আইন অনুযায়ী সম্পূর্ণ অবৈধ। নাসির তামিমাকে প্রলুব্ধ করে নিজের কাছে নিয়ে গেছেন বলে অভিযোগ করা হয়। তামিমা ও নাসিরের এমন অনৈতিক ও অবৈধ সম্পর্কের কারণে রাকিব ও তাঁর আট বছর বয়সী শিশুকন্যা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়েছে। আসামিদের এ ধরনের কার্যকলাপে রাকিবের চরমভাবে মানহানি হয়েছে, যা তাঁর জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। 

    প্রকাশিত: বুুুধবার ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২